৫ টি জেলায় ৪৪ টি আসনে ভোট
এদিন ছিল রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন। উত্তরবঙ্গে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং দক্ষিণবঙ্গে হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মোট ৫ টি জেলায় ৪৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয় এদিন।
সব থেকে বড় ঘটনা শীতলকুচিতে
এদিন বিভিন্ন জায়গায় থেকে ছোটখাটো হিংসার ঘটনার খবর আসতে থাকলেও, সব থেকে বড় ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের কাছেই। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও শীতলকুচিতেই অন্য একটি জায়গায় দুষ্কৃতীদের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে অপর এক ভোটারের। তৃণমূলের তরফ থেকে ভোটারদের ওপরে নির্বিচারে গুলি চালনার অভিযোগ তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি শীতলকুচিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিতেই বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। প্রায় একই অভিযোগ তোলা হয়েছে বামেদের তরফে। তবে মৃতদের পরিবারগুলির পাশে থাকার কথা জানানো হয়েছে বামেদের তরফে। ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অধীর চৌধুরী। আপাতত ওই বুথের নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিনই ঘটনাস্থলে যান বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জায়গায়
এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সকালে কসবা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে বিজেপি ও সিপিএম। অন্যদিকে ভুয়ো ভোটার ধরতে গিয়ে টালিগঞ্জ কেন্দ্রে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে চুঁচুড়া কেন্দ্রে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ওপরে হামলার অভিযোগও তোলা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। ভোটের একেবারে শেষে বেলুড় গার্লস স্কুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগে সরব হয় সিপিএম। যা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তারা হামলার অভিযোগও করেছেন। বালিতে বৈশালী ডায়মিয়ার কনভয়ে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। পাঁচলায় জয়রামপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মারধরে অভিযোগও উঠেছে। বেহালা পূর্বে বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারের গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ভোট পড়েছে ৭৬.১৬%
এদিন এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে পাঁচ জেলায় ভোট পড়েছে ৭৬.১৬%। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ৭৩.৮৪%, কোচবিহারে ৭৯.৫৩%, হুগলিতে ৭৫.৯৯%, হাওড়ায় ৭৫.৩৫% এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট পড়েছে ৭৫.২৯%।