কলকাতা : রাজ্যে আরও ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনার পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কমিশন। যার জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে পরবর্তী চারটি দফার জন্য এই অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দেওয়া এক নির্দেশে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে পরবর্তী চার দফার জন্য আরও ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ফলে রাজ্যে আসতে চলেছে অতিরিক্ত ৭১ কোম্পানি সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স বা সিএপিএফ।
কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন শীতলকুচির ঘটনায় বেশ নড়েচড়ে বসেছে কমিশন। উল্লেখ্য রাজ্যে ২৯৪টি বিধানসভা আসনের জন্য বর্তমানে রাজ্যে এক হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে।
এর মধ্যে বিএসএফ (৩৩), আইটিবিপি (১৩), সিআরপিএফ (১২), এসএসবি (৯), সিআইএসএফ (৪) কোম্পানি রয়েছে। এর পরবর্তী ভোট হল ১৭ই এপ্রিল, ২২শে এপ্রিল, ২৬শে এপ্রিল, ও ২৯শে এপ্রিল।
শনিবার রাজ্যের চতুর্থ দফা নির্বাচনে ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর ঘটনা। শীতলকুচির জোড় পাটকির ১৩৬ নম্বর বুথে সিএপিএফ -এর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে গুলি চালিয়েছে বাহিনীই।
প্রথমে এক আঠারো বছরের যুবকের গুলি লাগে। রাজনৈতিক সংঘর্ষের বলি ওই যুবক। বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তখনই তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। গুলি ছিটকে এসে লাগে ওই যুবকের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে এসে আর বাড়ি ফেরা হল না সদ্য আঠারোতে পা রাখা যুবকের।
এর ঠিক কিছু সময় পরেই ফের গুলি। এবার কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শীতলকুচিরই জোরপাটকির ১২৬ নং বুথের বাইরে জটলা চলছিল। অভিযোগ, হঠাৎই বুথের বাইরে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক যুবক। এলাকায় রটে যায় ওই যুবককে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মারধর করেছেন। এরপরেই তিনশো থেকে চারশো গ্রামবাসী এলাকায় জড়ো হন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। অভিযোগ ঠিক সেই সময় জওয়ানদের বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। আত্মরক্ষার্থে জওয়ানরা গুলি চালালে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.