মুম্বই: পারিবারিক কারণে গত মরশুমে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই মরুশহর ছেড়ে দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর অভাব প্রতিপদে অনুভব করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ২০২১ আইপিএল প্রত্যাবর্তনে ধোনির দলে তাঁর কার্যকারিতা আরও একবার প্রমাণ করলেন সুরেশ রায়না। তাঁর দুরন্ত অর্ধশতরানে ভর করে চতুর্দশ আইপিএলের প্রথম ম্যাচে দিল্লিকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল সিএসকে।

তবে রায়না একা নন, চেন্নাইয়ের হয়ে ব্যাট হাতে এদিন উজ্জ্বল নবাগত মইন আলি। শেষদিকে ঝড় তুলে দিল্লি ক্যাপিটালসের উপর চাপ বাড়ালেন স্যাম কারেন। ওয়াংখেড়েতে গুরু ধোনি বনাম শিষ্য পন্তের লড়াই ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ কনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এদিন ‘আইডল’ মাহির বিরুদ্ধে টস করতে নামেন পন্ত। টস জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাটিং’য়ের আমন্ত্রণ জানান দিল্লির নয়া অধিনায়ক।

৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিল্লিকে দারুণ শুরু দেন আবেশ খান এবং ক্রিস ওকস। শূন্য রানে ফেরেন ডু’প্লেসি। রুতুরাজ করেন ৫ রান। তৃতীয় উইকেটে মইন আলি এবং সুরেশ রায়নার ৫৩ রানের জুটিতে কিছুটা সামলে ওঠে সিএসকে। চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেকে ২৪ বলে ৩৬ রানের মূল্যবান ইনিংস আসে ইংরেজ অল-রাউন্ডার মইনের ব্যাট থেকে। কিন্তু মইন আউট হওয়ার পর বড় রানের জন্য সিএসকে’র দরকার ছিল আরও একটা লম্বা পার্টনারশিপ। সেই লক্ষ্যে চতুর্থ উইকেটে আম্বাতি রায়ডু ভরসা দেন রায়নাকে।

চতুর্থ উইকেটে এই দু’জনে যোগ করেন ৬৩ রান। একইসঙ্গে বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দেন রায়নাও। মাত্র ৩২ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। রায়ডু আউট হন ১৬ বলে ২৩ রান করে আর রায়না ফেরেন ৩৬ বলে ৫৪ রানে। রায়নার ইনিংস সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ৪টি ছয়ে। তবে চূড়ান্ত হতাশ করেন মাহি। ২ বলে শূন্য রান করে আবেশ খানের বোলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ১৫.৩ ওভারে চেন্নাইয়ের রান তখন ৬ উইকেটে ১৩৭।

শেষের ওভারগুলোয় ঝড় তোলেন ইংরেজ অল-রাউন্ডার স্যাম কারেন। ৪টি চার ২টি ছয়ে ১৫ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে চেন্নাইয়ের রান ১৮৮-তে পৌঁছে দেন তিনি। ইনিংসের অন্তম বলে আউট হন তিনি। অন্যদিকে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে অপরাজিত ২৬ রান আসে রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাট থেকেও। এখন দেখার গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।