ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই করোনা আক্রান্ত আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। ভারতে ভয়ঙ্কর ভাবে ছড়াতে শুরু করেছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। আর এবার করোনা আক্রান্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিনি ভর্তি রয়েছেন নাগপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আরএসএসের তরফে স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রধানের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর তাঁদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়াতে জানানো হয়েছে।

আর এরপর থেকে মোহন ভাগবতের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে সঙ্ঘের তরফে তা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে।

একই সঙ্গে তাঁর অনুগামীদের জন্যে আরএসএসেরর তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, দুপুরে করোনা সংক্রমিত হন মোহন ভাগবত। লক্ষণ সামান্য দেখা দিয়েছিল। শ্বাসপ্রশ্বাসে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমনটাই জানানো হয়েছে আরএসএসের তরফে।

ডাক্তাররা ইতিমধ্যে বেশ কিছু টেস্ট করিয়েছেন। এছাড়াও সবরকম ব্যবস্থা তাঁরা নিচ্ছেন বলে আরএসএসের তরফে জানানো হয়েছে।

তবে এনডিটিভিতে প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, গত ৭ মার্চ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন মোহন ভাগবত। বাকি আছে দ্বিতীয় ডোজের। আর এর মধ্যেই করোনাতে আক্রান্ত হতে হল তাঁকে। তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আরএসএস প্রধানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করছেন অনেকেই।

ক্রমশ করোনা চোখ লাল করছে। প্রত্যেকদিন আক্রান্তের রেকর্ড ভাঙছে। শুধু মহারাষ্ট্রেই একদিনে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দিন দিন করোনার গ্রাফ আকাশ ছুঁতে চলেছে মহারাষ্ট্রে।

করোনা সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভে দেশে উৎকণ্ঠা শুরু হয়েছে দৈনিক বাড়বৃদ্ধি দেখে। আর দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবথেকে উদ্বেগের। প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা চলছে দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণে।

এই অবস্থায় রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সক্রিয় কোভিড-১৯ সক্রিয়ের সংখ্যা ১,১০০,০০০ ছাড়িয়ে যাবে। আমরা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি সংক্রমণ রেকর্ড করছি। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম তরঙ্গের তুলনায় দ্বিতীয় তরঙ্গকালে রাজ্য ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ বেশি সক্রিয় মামলা রেকর্ড করেছে।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমশ করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চার হাজার ছুঁয়েছে। সেইসঙ্গে করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাংলায় আছড়ে পড়তেই ইতিমধ্যে ৬ লাফ পেরিয়ে গিয়েছেন মোট আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ফলে এখনই এই বিষয়ে দেশের মানুষকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর।