নয়াদিল্লি: বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন অব্যাহত। নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষি আইন বাতিলের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে আগেই জানিয়েছিল ভারতীয় কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইত। যদিও বলেছিলেন করোনাবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করবে কিন্তু আজ শনিবার আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠলো দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। কৃষকরা হরিয়ানায় কয়েকটি জায়গায় কুণ্ডলি-মাননেসর-পালওয়াল (কেএমপি) এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে। কৃষকদের দাবি গত ২২ শে জানুয়ারি শেষ কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। গত ৭৭ দিন কোনো আলোচনা হয়নি। সরকার আমাদের এড়িয়ে চলার ভান করছে।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা রকেশ টিকাইত বলেছেন, ‘আমরা ২২ শে জানুয়ারির পরে সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করিনি। এখন আমরা এই কৃষি আইন সম্পর্কে পুরো দেশকে সচেতন করছি। এই আন্দোলনটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কেবল এক বা দুটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সরকারকে তার নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকতে দিন। আমরা দীর্ঘ আন্দোলন চালাতে প্রস্তুত। সরকার এই সংগ্রামকে হিংসাত্মক বানাতে চায় তবে আমরা জনগণের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করছি। ‘

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার কোঅর্ডিনেটর দর্শন কুমার জানিয়েছেন, আগামী মাসে দিল্লির সীমান্তে অন্নদাতারা কিভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে তা নিয়ে পরিকল্পনা প্রস্তুত করছি।গম তোলার কাজ চলছে। আমরা অন্যান্য কৃষকদের কাছে আবেদন জানিয়েছি যেন তারা গম চাষ না করেন।সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সাথে কথা বলতে দেরি করছে, যার কারণে কৃষকরা বিরক্ত হচ্ছেন, তবে এই আন্দোলনটি সারা দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।গরমে সীমান্তে থাকার জন্যে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েকটি সভা করছি।মে মাসে সংসদ অভিযান হবে তার জন্যে তারিখ দ্রুত ঠিক করে জানানো হবে।’

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের পাশ করানো তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ২৬ মার্চও আইন বাতিলের দাবিতে ভারত বনধ ডেকেছিল কৃষক সংগঠনগুলি। আন্দোলনের বহর কমলেও কৃষকরা এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।