কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মমতার বক্তব্য-বিতর্কের পর এবার তৃণমূল নয়া দাবিতে সরব, ভোটের মাঝেই কমিশনে আর্জি

গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছে রাজ্যরাজনীতি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বহুবার তৃণমূল নেত্রী প্রশ্ন তুললেও, সাম্প্রতিক এক সভায় তাঁর এই প্রসঙ্গে এক মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের জাল বোনে। এমন এক পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিল নয়া স্টান্স।

কোন আর্জি তৃণমূলের?

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বর্ধমানের সার্কিট হাউসে সর্বদলীয় বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের স্পেশ্যাল জেনারেল অবজারভার অজয় নায়েক। সেখানেই তৃণমূলের তরফে আর্জি জানানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কেন্দ্র করে। জানানো হয় যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ভাষাগতভাবে সংযোগ স্থাপনে সমস্যা হচ্ছে।

সমাধান সূত্র হিসাবে কোন প্রস্তাব?

প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে ভাষাগতভাবে যে সমস্যা হচ্ছে, তা ঘোচাতে একজন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা হোক। এই মধ্যস্থতাকারীরা স্থানীয় মানুষদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভাষা বুঝতে সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে।

রুটমার্চের সময় কী করা হবে?

তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, রুটমার্চের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যে ভাষায় কথা বলছেন, তা স্থানীয় মানুষদের অনেকেই বুঝতে পারছেন না। ফলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে। এখানে যদি একজন মধ্যস্থতাকারী থাকেন তাহলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।

গত কয়েকদিনে তৃণমূলের অভিযোগ

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূল তথা দলের নেত্রীর অভিযোগ ছিল যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের পদ্মশিবিরে ভোটদানের কথা বলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালও এক সভায় দাবি করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের কথাই কেন অনুসরণ করছে? তিনি সাফ জানান, বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ নেই, মমতার অভিযোগের নিশানা কেবলই অমিত শাহরা।

কমিশন ও বৈঠক

প্রসঙ্গত, বর্ধমানের সার্কিট হাউসে আলাদা আলাদা করে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ই তৃণমূল মূলের তরফে এই বক্তব্য রাখা হয়। তৃণমূলের তরফে এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উজ্জ্বল প্রামাণিক। তিনি এদিনের বৈঠকে ভোটে রাজ্যপুলিশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।