মহারাষ্ট্রের পর এবার দিল্লি নিয়েও চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সরকারের কপালে। দৈনিক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শুক্রবার রাজধানীর সব স্কুল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুল খোলা হবে না।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটে বলেন, 'দিল্লিতে করোনা কেস বৃদ্ধির ফলে সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে এবং পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।’ রাজধানীতে কোভিড–১৯ সংক্রমণ রোধ করতে দিল্লি সরকার নৈশ কার্ফু জারি করেছে। যা রাত ১০ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কার্যকর। একমাত্র জরুরি পরিষেবার ওপর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গত ২৪ ঘণ্টায় জাতীয় রাজধানীতে নতুন করে ৭ হাজারের বেশি পজিটিভ কেস (৭,৪৩৭) সনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। দিল্লিতে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা মোট ৬,৯৮,০০৫–এর মধ্যে ২৩,১৮১টি। তবে ২০২১ সালে একদিনে সাত হাজারের ওপর নতুন করোনা কেস সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে।
সোমবার দিল্লি সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে রাজধানীর এক–তৃতীয়াংশ সরকারি হাসপাতাল ৬ এপ্রিল থেকে সারাদিন ব্যাপী খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার ৭,৪৩৭টি কেস নিয়ে দিল্লিতে মোট করোনা ভাইরাসের কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬,৯৮,০০৫ এবং ২৪টি মৃত্যু নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১১,১৫৭–তে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীতে করোনা কেসের পজিটিভ হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.১ শতাংশ, যা বুধবার ছিল ৬.১ শতাংশ।
তবে দিল্লিতে ইতিমধ্যে ৮৩ হাজার সুবিধাভোগী কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন ডোজ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৩,৪৩৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ৭২,২৬৭ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ১১,১৭০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ৪৭,৩৮২ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পর দু’টি প্রতিকূল ঘটনা সামনে এসেছে, তবে সেটা সামান্য।
বাবা ফারুক আবদুল্লার পর এবার করোনায় কাবু হলেন ছেলে ওমর আবদুল্লাহ