বাইডেনের শাসনকালের শুরুতেই সংঘাত? দিল্লির অনুমতি ছাড়াই লক্ষদ্বীপে অবাধ বিচরণ মার্কিন রণতরীর

বাইডেনের শাসনকালের শুরুতেই কী তাহলে ভারত-মার্কিন সংঘাতের সূত্রপাত হয়ে গেল? দিল্লির অনুমতি ছাড়াই লক্ষদ্বীপে মার্কিন রণতরীর অবাধ বিচরণে সেই সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে। সূত্রের খবর, বিনা অনুমতিতে লাক্ষাদ্বীপ উপকূলের কাছে ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক জোনে ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তীব্র চাপানৌতর শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।

প্রবল চাপানৌতর আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে

৭ এপ্রিল মার্কিন নৌবাহিনীর সপ্তম বহর লক্ষদ্বীপের পশ্চিমে ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক জোনে ১৩০ নটিক্যাল মাইলে ঢুকে পড়েছিল। যদিও পরবর্তীতে আমেরিকার নৌসেনার তরফেই এক বিবৃতি জারি করে এই কথা জানানো হয়। যা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে ভারতের তৈরি নিয়মকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানানো বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

কোনও নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি, সাফ জানাচ্ছে আমেরিকা

যদিও আমেরিকার যুক্তি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই তারা সমুদ্রসীমায় পা রেখেছে, কোনও নিয়ম নিয়ম লঙ্ঘনই তারা করেনি। এমনকী মার্কিন নৌবহর এই ধরনের স্বাধীন অভিযান করে থাকে বলেও সেদেশের তরফে জানানো হয়েছে। অতীতেও একই ধরমের নৌ মহড়া চালানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা চলবে। এটা কোনও একটি দেশের বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বলেই মত বাইডেনের নৌ বাহিনীর।

কী বলছে ভারত

এদিকে ভারতীয় নৌ বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লাক্ষাদ্বীপের কাছে ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল অনেকটা আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যে পড়ে। এই এলাকায় চিনা জাহাজ ঢুকলেও ভারতীয় নৌ বাহিনী তাদের পথ আটকায়। এই অঞ্চলে ভারত-সহ যে কোনও দেশের সামরিক সরঞ্চাম বহনকারী কোনও জাহাজ প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘের সমু্দ্র আইনে সই করেনি আমেরিকা

কিন্তু এই নিয়ম যা কার্যত লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা। এদিকে রাষ্ট্রসংঘের সমু্দ্র আইন অনুযায়ী, উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এলাকায় অর্থনৈতিক কাজকর্ম চালানোর অধিকার রয়েছে যে কোনও দেশের। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই আইনে ভারত স্বাক্ষর করলেও, করেনি আমেরিকা। আর সেই রাস্তাকেই বর্তমানে ঢাল করছে আমেরিকা। এমনটাই যুক্তি অনেকের।

প্রতীকী ছবি

রাত পোহালেই ভোট চতুর্থী, কতটা জমবে খেলা? নজরে কোন কোন তারকা প্রার্থী?