বারান্দায় একা বসে কাঁদছে চার বছরের মেয়ে, মা–বাবার দেহ মিলল ঘরে, আমেরিকায় মৃত্যু ভারতীয় দম্পতির

আমেরিকায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক ভারতীয় দম্পতির। তাঁদের ৪ বছরের শিশুকন্যাকে বারান্দায় একা কাঁদতে দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয় এবং‌ তাঁরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে এই দৃশ্য দেখেন। শুক্রবার কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে নর্থ অ্যারলিংটনের আবাসনে ওই দম্পতি ছুরিকাঘাতে মারা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

সংবাদমাধ্যম এও জানিয়েছে যে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে তাঁদের বসার ঘরে বচসা বাঁধে এবং তারপরই স্বামী স্ত্রীর পেটে ক্রমাগত ছুরি চালাতে শুরু করেন। বালাজি রুদ্রাওয়ার (‌৩২)‌ ও তাঁর স্ত্রী আরতি বালাজি রুদ্রওয়ারের (‌৩০)‌ দেহ উদ্ধার হয় নিউ জার্সির নর্থ অ্যারলিংটনের আবাসন থেকে। যেখানে ১৫ হাজার আবাসিকের বাস। বালাজির বাবা ভারত রুদ্রাওয়ার বলেন, '‌প্রতিবেশীরা বারান্দায় আমার নাতনিকে কাঁদতে দেখে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন এবং তারাই ঘরের ভেতর ঢুকে বুধবার ছেলে ও পুত্রবধূর দেহ উদ্ধার করে।’‌ পুলিশ জানিয়েছে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ২টি দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বালাজি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন। তবে খুনের কারণ কি তা এখনও অন্ধকারে।

পুলিশ এও জানায়, '‌মেডিক্যাল পরীক্ষার পরই তদন্ত এগোবে এবং মৃত্যুর কারণ ও পরিস্থিতি বোঝা যাবে, তবে উভয় আক্রান্ত যে ছুরিকাঘাতে মারা গিয়েছেন এটা নিশ্চিত।’ বালাজির বাবাকে বৃহস্পতিবারই আমেরিকার পুলিশ তাঁর ছেলের মৃত্যুর খবর দেয় কিন্তু কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানায়নি। বালাজির বাবা বলেন, '‌আমার বৌমা সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমাদের খুব শীঘ্রই তাদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। এর আগেও আমরা ঘুরে এসেছি।’‌ তিনি আরও বলেন, '‌আমি ঠিক জানি না সম্ভাব্য কারণ কি হতে পারে। তাঁরা খুব সুখী পরিবার ছিল এবং দারুণ তাঁদের প্রতিবেশীরা।’‌ ‌

আমেরিকার স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি মিটে গেলে ৮–১০ দিনের মধ্যে ২টি দেহ ভারতে পৌঁছে যাবে। ভারত রুদ্রাওয়ার বলেন, '‌আমার নাতনি ছেলের এক বন্ধুর বাড়িতে রয়েছে। ছেলের স্থানীয় ভারতীয় কমিউনিটির মধ্যে প্রচুর বন্ধু রয়েছে।’‌ মহারাষ্ট্রের বিড জেলার আম্বাজোগাইয়ের বাসিন্দা পেশায় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী বালাজি রুদ্রওয়ার ২০১৫ সালের অগাস্টে আমেরিকায় চলে আসেন। তাঁদের ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে হয়েছিল।