করোনার ধাক্কা সামলে দেশের মাটিতে আজ থেকে শুরু আইপিএলের ১৪তম সংস্করণ৷ চেন্নাইয়ে ওপেনিং ম্যাচে মুখোমুখি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর৷ আমনে সামনে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি৷ ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল চরমে৷ এদিকে ২০১২ সালের পর কোনও মরশুমেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জেতেনি মুম্বই। এদিন নিজেদের নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে মুম্বই।
এদিকে এদিন আরসিবির হয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন হর্ষল প্যাটেল। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হর্ষল প্রথম বোলার হলেন যিনি পাঁচ উইকেট নিলেন। এছাড়া এদিন একটি করে উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং কাইল জেমিসন।
এদিন মুম্বইয়ের প্রথন কয়েক ওভার দেখে মনেও হচ্ছিল না যে তারাই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। চেন্নাইয়ের ধীর গতির পিচে অনেক বল মিস করছিলেন রোহিত-লিন দুইজনেই। ৩ ওভার শেষে মাত্র ১২ রানে দাঁড়িয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এরপরের ওভারেই ক্রিজে ভুল বোঝাবুঝির জেরে রানআউট হয়ে ডাগআউটে ফিরতে হয় রোহিত শর্মাকে।
রোহিতের বিদায় নিতেই ক্রিজে নামেন ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদব। রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান সূর্য। এরপর দুই প্রাক্তন নাইটের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে মুম্বই। চাপ কাটিয়ে চেনা মেজাজে ফোরেন ক্রিস লিন৷ ষষ্ঠতম ওভারে একটি চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি৷ সপ্তম ওভারে ৫০ রান পূর্ণ করে মুম্বই।
এরপর বেশ কয়েকটি ভালো ওভারের উপর ভর করে প্রথম স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের আগে ৮৩ রানে পৌঁছে যায় মুম্বই। তবে টাইম আউটের পরেই দ্রুত দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারায় মুম্বই। ১১তম ওভারে জেমিসনের বলে আউট হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। ২৩ বলে ৩১ রান করেন তিনি। পরে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ হওয়ার আগেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন ক্রিস লিন। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন ক্রিস লিন। তিনি ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন।
তবে এরপর কেউ আর সেভাবে ক্রিজে টিকতে পারেনি। এর জন্যই বড় রানের আশা জায়িগেও শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রানেই আটকে যায় মুম্বই। শেষের দিকে ঈশান কিষাণ ১৯ বলে ২৮ রান করেন। হার্দিক পান্ডিয়া করেন ১০ বলে ১৩। পোলার্ড এবং ক্রুনাল, দুই জনেই ৭ রানে আউট হন।