ভিয়েনা : জি ২০ সম্মেলনের মঞ্চে কার্যত অনড় রইল চিন। জি ২০ গ্রুপের ২০ সদস্য দেশের আন্তর্জাতিক চাপেও বেজিং কোনও রকম সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি বলে অভিযোগ। করোনা কালে কোন উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশকে ঋণ দিয়েছে চিন, সেই ঋণের পরিমাণ কত, তার কোনও পরিসংখ্যান দিতে রাজি নয় বেজিং।
জি ২০ সম্মেলনের সদস্য রাষ্ট্রগুলির অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে যে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, সেই নিক্কেই এশিয়াতে ঋণ দানের পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য দিতে সাফ মানা করে চিন। জানিয়ে দেওয়া হয় এই রকম কোনও তথ্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেওয়া হবে না।
নিক্কেই এশিয়ার পক্ষ থেকে হতাশা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই সম্মেলনের সদস্য দেশগুলির মধ্যে একমাত্র চিনই কোনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না। সেদেশের সরকারি আধিপত্য়াধীন চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকও স্বাভাবিকভাবেই মুখ খোলেনি।
চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিতে তারা বাধ্য নয়। জি ২০ সম্মেলনের কোনও সদস্য দেশই এই দাবি তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না। এমনকী জি-২০ সম্মেলনে ঋণ প্রদান প্রকল্পে চিনের অংশগ্রহণ করা দাবি করতে পারে না আন্তর্জাতিক মঞ্চ।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে জি-২০ সম্মেলনের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একমাত্র চিনেরই অর্থনৈতিক লেনদেনে সব তথ্য ধোঁয়াশায় ভরা। ফলে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে বলে চিন যে দাবি করে, তার কতটা সত্যি, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
এদিকে, ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্য়বসা করার ক্ষেত্রে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে চিন। করোনার কারণে ইউরোপের সঙ্গে বেশ কিছু দেশের বাণিজ্য ধাক্কা খেলেও চিনের সঙ্গে সেভাবে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। এরফলে দেখা গিয়েছে গত বছর ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে চিনের বাণিজ্য়ের অংক দাড়িয়েছে ৭০ হাজার নয়শো কোটি ডলার বা ৫৮৬ বিলিয়ন ইউরো।সেখানে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য়ের অংকটা দাড়িয়েছে ৬৭হাজার কোটি ডলার।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের হিসাবে, এই গ্রুপের ২০ জন সদস্য: আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.