সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : ‘হাট্টিমাটিম টিম’ এই ছড়া প্রত্যেক বাঙালিরই জানা। তবে কে এই ছড়ার লেখক তা জানে না অধিকাংশ মানুষই। লিখেছেন রোকনুজ্জামান খান, যিনি ‘দাদাভাই’ নামেই বেশি পরিচিত। তাঁর রচনার বেশিরভাগই শিশু-কিশোরদের জন্য। হাট্টিমাটিম সম্ভবত তাঁর রচনাগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ১৯৬২ সালে রচিত হয় ছড়াটি। ১৯৬৮ সালে বাংলা আকাদেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাঁকে।

তাঁর জন্ম ১৯২৫ সালের ৯ এপ্রিল আজকের দিনে। জন্মেছিলেন অবিভক্ত বঙ্গের ফরিদপুর জেলায়। আরও বিস্তারে বললে তাঁর জন্ম পাংশা উপজেলায়। বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ইত্তেফাকের শিশু-কিশোরদের উপযোগী কচিকাঁচার আসর বিভাগের পরিচালক হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেছিলেন রোকনুজ্জামান। বহু বছর তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্রের শিশু-কিশোরদের বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৪৮ সালে আবুল মনসুর আহমদ সম্পাদিত ইত্তেহাদ পত্রিকার ‘মিতালী মজলিস’ নামীয় শিশু বিভাগের দায়িত্ব লাভের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে শিশু সওগাত পত্রিকায় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে দৈনিক মিল্লাতের কিশোর দুনিয়া’র শিশু বিভাগের পরিচালক ছিলেন। ১৯৫৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় তরুণ সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২ এপ্রিল শিশু-কিশোরদের উপযোগী কচিকাঁচার আসর বিভাগের পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং এই আসরের পরিচালকের নামকরণ করা হয় ‘দাদাভাই’। সেই থেকে তিনি নতুন পরিচয় পান ‘দাদাভাই’ হিসাবে।

তার জন্যই সাহিত্যিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন সুফিয়া কামাল, আব্দুল্লাহ আল মুতি শরফুদ্দিন, শওকত ওসমান, আহসান হাবীব, ফয়েজ আহমেদ, হোসনে আরা, নাসির আলী, হাবীবুর রহমানসহ বিখ্যাত অনেক লেখকরা। ১৯৫৬ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু-কিশোর সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন রোকনুজ্জামান খান। বিখ্যাত অনেক ব্যক্তিত্ব এর সদস্য ছিলেন। তালিকায় ছিল, সুলতানা কামাল, হাশেম খান, মাহবুব তালুকদার, কৌতুক অভিনেতা রবিউল প্রমূখ। তার অসামান্য শিশুদের ছড়ার বইয়ের মধ্যে রয়েছে খোকন খোকন ডাক পাড়ি, আজব হলেও গুজব নয় প্রভৃতি বই। সম্পাদনা করেছেন – আমার প্রথম লেখা, ঝিকিমিকি, বার্ষিক কচি ও কাচা, ছোটদের আবৃত্তি ইত্যাদি পুস্তক। ১৯৯৯ সালে মারা যান রোকনুজ্জামান।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।