লকডাউন নয়
দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লকডাউনের আতঙ্ক ঘিরে ধরেছিল দেশবাসীকে। আদৌও লকডাউন হবে কিনা এ নিয়ে সকলের মনেই প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল। মোদী এই বৈঠকে বলেন, ‘সরকারের প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে। এক বছরের লড়াইয়ের পর আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে এই প্রক্রিয়ায় ক্লান্তি চলে এসেছে এবং শিথিলতাও রয়েছে, কিন্তু আমাদের তা ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে দৃঢ় করতে হবে এবং প্রশাসনকে শক্তিশালী করতে হবে।' যদিও প্রধানমন্ত্রী খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে পরিস্থিতি মারাত্মক, বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব সহ বেশ কিছু রাজ্যের এবং কোভিড-বিধি পালনে উদাসীনতার বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করেছেন মোদী।
সতর্ক থাকতে হবে আরও বেশি
দৈনিক পজিটিভ কেস দেশে নতুন রেকর্ড গড়ার পথে রয়েছে, এটি এখন ১.২৬ লক্ষের বেশি। যদিও কয়েক সপ্তাহ আগেই তা ২০ হাজার কমেছিল। মোদী বলেন, ‘এটি উদ্বেগের বিষয়, বিশেষ করে মানুষজন খুব হাল্কাভাবে আচরণ করছেন, এমনকি কিছু নির্দিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনও তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।' যে যে বিষয়গুলির ওপর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন মোদী সেইদিকে জোর দিয়ে বলেন, ‘প্রথমত, দেশ প্রথম করোনা ওয়েভ অতিক্রম করেছে এবং বর্তমানে আগের চেয়েও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত,মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাত সহ অনেকগুলি রাজ্যও প্রথম ওয়েভের শীর্ষকে অতিক্রম করেছে। আরও কিছু রাজ্যও এ দিকে এগিয়ে চলেছে। এটি আমাদের সবার জন্য উদ্বেগের বিষয়।'
দেশে পজিটিভ হার কমাতে হবে
মোদী আরও বলেন, ‘এখন মানুষকে আগের চেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বেশ কিছু রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতিও ধরা পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে করোনা কেসের বৃদ্ধি সমস্যা তৈরি করেছে।' তবে এত কিছুর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক দিক দেখিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে দেশে করোনা সক্রিয় কেস কমবে, আগেও যেমনটা হয়েছে। মোদী মুখ্যমন্ত্রীদের করোনা টেস্ট বৃদ্ধি ও উপসর্গ নেই এমন রোগীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। মোদী বলেন, ‘আমাদের দেশে করোনা পজিটিভ হার ৫ শতাংশের নীচে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।'
টিকা উৎসব
একইসঙ্গে মোদী প্রস্তাব দেন, আগামী ১১ এপ্রিল (রবিবার) থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে ‘টিকা উৎসব' চালু করা হোক। সেই সময় দেশে যত বেশি সংখ্যক টিকা প্রদানের উপর জোর দেন তিনি। সঙ্গে টিকা যাতে একদম নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেন।