'দেশে দুটো হুইলচেয়ার ফেমাস'
বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র বলেন, 'দেশে দুটি হুইলচেয়ার ফেমাস। একটি পাঞ্জাব থেকে উত্তর প্রদেশের বান্দায় গিয়েছে। আর আরেকটি এখানে'। নরোত্তম মিশ্র যখন এই কথা বলছেন, তখন তাঁরই পাশে বসে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সৈনিক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যিনি এবার পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপির টিকিটে ভোট লড়ছেন।
সুর চড়ালেন নরোত্তম
মধ্যপ্রদেশের দাপুটে নেতা নরোত্তম মিশ্র বলেন, 'হুইলচেয়ারে থাকা একজন ভয় পাচ্ছেন হারের, আরেকজন ভয় পাচ্ছেন মারের।' প্রসঙ্গত, এদিন মমতচা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে 'হার' প্রসঙ্গটি তোলেন নরোত্তম মিশ্র। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের জেল থেকে উত্তরপ্রদেশে আসা গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির হুইলচেয়ারে বসা প্রসঙ্গে এদিন মন্তব্য করেন নরোত্তম।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট
উল্লেখ্য, গত মাসের ১১ তরিখ হলদিয়ায় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে মমতা সন্ধ্যে নাগাদ নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই সময় সন্ধ্যে ৬ টার আশপাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামেই আহত হন। এরপর থেকে আহ মুখ্যমন্ত্রীক আঘাত নিয়ে বহু বিতর্ক, চাপানোতর শুরু হয়। হাসপাতালে কয়েকদিন থাকার পর মমতা হুইল চেয়ারে প্রচার পর্ব শুরু করেন।
মুখতার আনসারির ঘটনা
বিএসপির বিধায়ক তথা গ্যাংস্টার হিসাবে পরিচিত মুখতার আনসারিকে কয়েকদিন আগেই পাঞ্জাবের জেল থেকে ছাড়া হয়েছে। এরপর আনসারিকে উত্তরপ্রদেশের বন্দায় নিয়ে আসা হয়। তাঁকে এক বিচারের জন্য উত্তরপ্রদেশে আনা হয়। আনসারির উত্তরপ্রদেশের প্রবেশের দিন দেখা যায় তাঁকে হুইল চেয়ারে চড়ে আসতে। সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় দেখা যায়।