বালুরঘাট : পরিবার পিছু মাসে হাজার টাকা দেওয়ার প্রলোভনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তৃণমূলের তরফে লোক পাঠিয়ে এসসি এসটি পরিবারগুলিতে লোক পাঠিয়ে প্রতিমাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার লিফলেট বিলি ও পরিবারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের রবীন্দ্রনগর খাদিমপুর এলাকায় লিফলেট বিলি ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহকারী এক যুবককে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশেই এই কাজ করছিলেন বলে আটক যুবক জানিয়েছেন। ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
অভিযোগ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বালুরঘাট শহরের রবীন্দ্রনগর ও খাদিমপুরের বিভিন্ন এলাকায় এসসি এসটি সম্প্রদায় ভুক্তদের বাড়িতে গিয়ে ঘাসফুল প্রতীক ও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সহ লিফলেট করছিলেন এক যুবক। প্রতিমাসে পরিবারের কর্ত্রীকে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে এক হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হবে বলে লিফলেটে লেখা রয়েছে। সেই সঙ্গে এই সুবিধা পেতে নাম নথিভূক্ত করতে একটি মোবাইল নাম্বারও তাতে উল্লেখ রয়েছে। বাড়িতে ঢুকে লিফলেট বিলিকারী ওই যুবককে আটকে রাখেন এলাকার বিজেপি সমর্থকরা। লিফলেটের নিচের অংশটি ছিড়ে নিয়ে তাতে পরিবারের নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরও লিখে নিয়েছে অভিযুক্ত যুবক।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহা অভিযোগ করে বলেন যে সুমন বিশ্বাস নামের আটক যুবক তাঁদের এলাকায় ঢুকে প্রতি মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দিচ্ছিল। বালুরঘাটের জোড়া ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে নিজে মুখে জানিয়েছে অভিযুক্ত সুমন বিশ্বাস।
বিজেপির বালুরঘাট শহর মন্ডল এর সভাপতি সুমন বর্মন জানিয়েছেন বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁরা রবীন্দ্রনগরের নিতাই দাসের বাড়িতে গিয়ে ব্যাগভর্তি তৃণমূলের লিফলেট সহ ঐ যুবককে ধরে ফেলেন। জেরার মুখে অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করেন যে শাসক দলের তরফে তাঁকে তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারগুলিতে গিয়ে মাসে হাজার টাকা করে দাও আর এই লিফলেটগুলি বিলি ও নাম ঠিকানাসহ মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবককে বালুরঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুবাস চাকী ঘটনায় উল্টে বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তৃণমূল কখনো এই ধরনের কাজ করে না। বিজেপি উল্টে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিলি করে মানুষকে হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.