ঢাকা: গণপরিবহণ ব্যবস্থা চলতে থাকা কি করোনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিল? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। যদিও সরকারি নোটিশে সাত দিনের জন্য যে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করা হয় তাতে যাত্রী পরিবহণে ছিল নিষেধাজ্ঞা।
বিবিসি জানাচ্ছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক ভয়ঙ্কর গতি ঠেকানোর জন্য সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ দিলেও বুধবার থেকে ঢাকা এবং অন্যান্য মহানগরীতে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার প্রবণতা বেশি।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে আরও একদফা নোটিশ জারি হতে পারে। তেমনই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীর চাপে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তথৈবচ। অনেকে হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। কারণ করোনা আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত জেনারেল বেড ও আইসিইউ কোনও কিছুই ফাঁকা নেই। দ্রুত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে হাসপাতালে রোগীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও আশঙ্কা করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুসরাত সুলতানা জানান, গত ৬ এপ্রিল এবং ৭ এপ্রিল ল্যাবে করোনার নমুনা শনাক্তের হার ছিল ২৭ এবং ২৬ শতাংশ। মার্চের শেষ দিকে একদিনে শনাক্তের সর্বোচ্চ হার ছিল ৩৯ শতাংশ। এপ্রিলের শুরু থেকে কয়েকদিন ধরে দিনে শনাক্তের হার ৩১ থেকে ৩২ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে বুধবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬২৬ জন। প্রতিদিন নতুন করে রোগী শনাক্তের নজির হচ্ছে। মঙ্গলবার ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত বছরের ৩০ জুন সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলির মধ্যে এখন ৮১ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট। এই সংক্রমণ মারাত্মক। নভেল করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে ইউকে ভ্যারিয়ান্ট, সাউথ আফ্রিকা ভ্যারিয়ান্ট ও ব্রাজিল ভ্যারিয়ান্টই সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই তিন ধরনের সংক্রমণের হার বেশি। এদের জিনগত পরিবর্তনও ঘটে বেশি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.