মনোরঞ্জন ব্যাপারীর রিকশা চালিয়ে মনোনয়ন জমা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই মানুষের ভিড়ে মিশে কাজ করতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি বিরোধী নেত্রীর ইমেজ ছাড়েননি। শুধু অফিসে নিজেকে সীমাবদ্ধ করেননি। তাঁর দলীয় প্রার্থীও মাটিতে পা রেখে চলেন শুনে অতি উৎসাহী হয়ে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারীর রিকশা চালিয়ে মনোনয়ন করতে যাওয়ার কথা
শুনেছি উনি রান্না করতে করতে বই লিখেছেন
বলাগড়ের তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারী একসময় রিকশা চালাতেন। সেইসঙ্গে ছিল সাহিত্যচর্চার শখ। প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী তাঁর প্রতিভাকে চিনে নেন। তারপরই গোটা দেশে দলিত লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর পরিচিতি গড়ে ওঠে। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমি শুনেছি উনি রান্না করতে করতে বই লিখেছেন।
দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি করেছি, বলাগড়েই দফতর হবে
মমতা বলেন, উনি আমাকে একটা দরখাস্ত লিখেছিলেন। রান্নার বদলে অন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। তাই লাইব্রেরিতে সরিয়ে এনেছিলাম। তারপর দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি করেছি ওঁকে মাথায় রেখেই। আপনাদের নিয়ে অনেক কাজ করবেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বলাগড়েই ওঁর দফতর হবে।
ভেরি গুড। আমিও রিকশা চালাতে পছন্দ করি
আর রিকশা চালিয়ে নোমিনেশন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ভেরি গুড। আমি নিজেও রিকশা চালাতে পছন্দ করি। স্কুটি চালাতেও পছন্দ করি। সবকিছু কাজ করতেই পছন্দ করি। আমাদের প্রার্থীও তাই। এদিন বেশ প্রসন্ন দেখাল মমতাকে। তিনি এদিনের নির্বাচনী জনসভায় গুপ্তিপাড়ায় বিয়ে হওয়া বান্ধবী বুলুর খোঁজও নেন।