গত বারের থেকে কঠিন নিয়ম
করোনা ভাইরাসের জন্যই ২০২০ সালের আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অতিমারীর প্রভাব কিছুটা কম থাকায় কোনও নেতিবাচক ঘটনা ছাড়াই টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতে পেরেছিল বিসিসিআই। তিন শহরের মধ্যে দূরত্ব কম থাকায় ক্রিকেটারদের যাতায়াত নিয়েও খুববেশি ঝক্কি পোহাতে হয়নি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবিরকে। কিন্তু এবার ভারতেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আইপিএল। এমন একটা সময়, যখন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এমতাবস্থায় টুর্নামেন্টের আয়োজক শহর কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু,চেন্নাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে উড়ানে যাতায়াত যে ক্রিকেটারদের পক্ষে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। বিশেষ করে কোভিড ১৯-এর দাপটে নাজেহাল হয়ে যাওয়া মুম্বই এবং দিল্লিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় কীভাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিসিসিআই। ফলে গত বারের থেকে নিয়ম কড়া করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। করোনা টেস্টের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের সুরক্ষায় প্রতি শহরের বিমানবন্দরে আইপিএল চেক-ইন কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। যাতে আম জনতার থেকে আলাদা থাকতে পারেন বিরাট কোহলিরা।
প্রতিদিন করোনা টেস্ট
আগামী আইপিএল-কে করোনা ভাইরাস-মুক্ত করতে ক্রিকেটারদের প্রতিদিন কোভিড ১৯ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। জৈব সুরক্ষা বিধি মেনে হোটেলের ঘর থেকে ক্রিকেটাররা যেখানেই বেরোন, ফেস মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাঠে প্রবেশ এবং স্টেডিয়াম থেকে বেরোনের সময়ও ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ এবং কর্মকর্তাদের ফেস মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবির।
কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিসিআই
টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনও দলের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ বা কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তাঁকে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাঁদের স্পর্শে থাকা ব্যক্তিদেরও সাত দিনের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বেরিয়ে আইসোলেশনে থাকাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দুই বার কোভিড ১৯ টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ না এলে ওই ক্রিকেটারদের অনুশীলনে নামতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত ক্রিকেটার
ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কেকেআরের নীতীশ রানা, দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেল। কোভিড ১৯-কে হারিয়ে মাঠে ফিরেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ওপেনার দেবদত্ত পাড়িক্কল। নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরসিবি-র অস্ট্রেলিয় ফাস্ট বোলার ড্যানিয়েল স্যামস।