নয়াদিল্লি: ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে বেশ খানিকটা উন্নতির দিকে । এমন এক পরিস্থিতিতে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানালেন, চিনের প্রযুক্তি যেভাবে ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, চিনের তরফে কোনও বড় সাইবার হামলা ভারতের উপর আসতে পারে।
জেনারেল রাওয়াত জানিয়েছেন,চিন শক্তপোক্ত প্রযুক্তি নির্ভর দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে, প্রযুক্তির দিক থেকে চীন ভারতের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। দুদেশের মধ্যে বিস্তর পাথক্য রয়েছে।চীন নতুন প্রযুক্তিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।ফলে চীনের তরফে ভারতের ওপর সাইবার হামলার ঘটনা কোনও নতুন বিষয় নয়।
তবে বিপিন রাওয়াতের মতে , এমন আশঙ্কা করে ভারতও পিছিয়ে নেই। সাইবার সিকিউরিটির দিক থেকে ভারত একটি প্রতিরক্ষা দল গড়ে তুলতে শুরু করেছে। আশঙ্কা রয়েছে যে চিন, ভারতের সাইবার নিরাপত্তায় বড়সড় হামলা আনতে পারে।ভারতকে তার বন্ধু দেশের মধ্যে কোনওরকম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি না করেই এই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
ভারতের সেনাবাহিনীর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে পশ্চিমা বিশ্বের দিকে নজর দেওয়া উচিত নয় বরং এর পরিবর্তে বিশ্বকে বলা উচিত যে, তারা ভারতে আসুক এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতের বিশাল অভিজ্ঞতা থেকে শিখুক।সাইবার অ্যাটাক কীভাবে হতে পারে তার ‘ডাউন টাইম’ ও প্রভাব আঁচ করে ভারত পাল্টা রণসজ্জা তৈরী শুরু করেছে।
সিডিএস বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন ফায়ার ওয়াল ভেঙে সাইবার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষমতা চিন রাখতে পারে। তবে তা রুখতে পাল্টা ভারতও নিজের প্রযুক্তির ওপর কাজ করছে।
জেনারেল রাওয়াত বলেছেন যে কূটনীতি এবং পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষা ক্ষমতা দিয়ে ভারত বাহ্যিক হুমকি মোকাবিলা করতে পারবে। তবে একই সাথে উল্লেখ করেছে যে শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সামাজিক সম্প্রীতি, কার্যকর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, দ্রুত বিচার বিভাগীয় সমস্যার সমাধান এবং সুশাসন হ’ল ‘অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার প্রথম ধাপ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.