সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : সোশ্যাল মিডিয়া বড় মজার জিনিস। সেখানে মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে যা অবাক করে দেওয়ার মতো। ধরুন আপনি আপনার প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে কোনও একটি ছবি কিছু বছর আগে শেয়ার করেছিলেন, সেই ছবি ঘিরে ফিরে আসছে ফি বছর আপনার ওয়ালে। দু’দন্ড কষ্ট হচ্ছে আপনার। এবার বর্তমান বাংলার রাজনৈতিক চিত্রের যদি এমন ঘটনা ঘটে?

পুরনো দলের সঙ্গী সাথীদের সঙ্গে ছবি কিংবা পুরোনো কোনও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত উক্ত রাজনৈতিক নেতা নিয়েছেন , সেটাই তার সময়ে উলাটপুরান হচ্ছে। কেমন হবে একবার ভাবুন? ঠিক এমনটাই হয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কী হয়েছে? ২০১২ সালের ২৩ মে তিনি তখন বিরোধী নেতা। সুর চড়িয়েছিলেন পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। লিখেছিলেন , ‘পেট্রোলের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি কংগ্রেস ও ইউপিএ জোট সরকারের ব্যাপক ব্যর্থতার ফল। গুজরাটের মানুষের উপর এটা ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে।’ এই পোস্ট এখন সোশ্যাল মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ব্যাস, শোরগোল। কারন সেই সময়ে পেট্রোলের দাম ছিল ৬০ টাকা , এখন দাম ৯০ এর বেশি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কী করেছে সোশ্যাল মাধ্যম। ২০১৪ সালে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন , ‘তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম বড় যোদ্ধা যাকে আমি আমার বড় ভাই বলে মনে করি’। এবার ভাবুন বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা। একে অপরকে গালমন্দ করে ধুয়ে দিচ্ছেন। একজন তলাবাজ ভাইপো বলে বলে জনসভা কাঁপাচ্ছেন তো অপরজন গদ্দার, মীরজাফর বলে সমর্থকদের বাহবা কুড়োচ্ছেন।

শুভেন্দু দিন চারেক আগে দাবি করেন, ‘ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ভাইপোকে পাইয়ে দিয়েছে বিনয় মিশ্র, অশোক মিশ্রের চক্র। গোটা ব্যানার্জি পরিবার এই দুর্নীতিতে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারেন না।’

শুভেন্দুকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেছিলেন, ‘একদিকে বিশ্বাসঘাতক, আর একদিকে বাংলার মেয়ে। কাকে আপনারা জেতাবেন, আপনারা সিদ্ধান্ত নিন। বুথে বুথে মীরজাফরদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। দিল্লির কাছে মাথা নত করবেন না। গদ্দারদের ক্ষমা করবেন না।’ অভিষেক আরও বলেন, ‘তুমি যত কুৎসা করবে, তত গর্তে ঢুকবে। ২ তারিখ যখন ভোটবাক্স খুলবে, পদ্মফুলের নেতারা চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। এই জেলায় ১৬-০ হবে।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, ‘অনেক অন্ধ ভালোবাসা দিয়েছি। তার বিনিময়ে ওঁরা যা আমায় দিয়েছেন, তাতে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না বিনা যুদ্ধে। যারা গদ্দার, মীরজাফর, তারা এখন বিজেপি প্রার্থী। আর বিজেপি-র পুরনো লোকেরা ঘরে বসে কাঁদছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।