গভীর রাতে স্ট্রং রুমে হাজির হন তৃণমূল প্রার্থী
জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে হঠাৎ করেই আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমে হাজির হন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। সেখানেই প্রার্থীদের ভাগ্য বন্দি অবস্থায় রয়েছে। আর সেখানেই পৌঁছে যান সুজাতা। আর এই নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কেন স্ট্রং রুমের কাছাকাছি তৃণমূল প্রার্থী এলেন তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদিও এরপর জায়গা ছাড়েন সুজাতা মন্ডল। এরপরেই বাড়ানো হয়েছে ওই এলাকার নিরাপত্তা।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিক্ষোভ
হঠাত করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী এত রাতে কেন এসেছেন, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা৷ যদিও সুজাতা মণ্ডলের বক্তব্য, তিনি স্ট্রং রুম ঠিক আছে কি না, সেটি দেখতে এসেছিলেন । এর মধ্যে অন্য কোনও আর কারণ নেই। পাশাপাশি তিমি যে হুগলির ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই জিতছেন, সেই কথাও বুধবার রাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন সুজাতা মণ্ডল৷ এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে চলে যান আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী মধুসুদন বাগও। তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘ইভিএম ও ভিভিপ্যাট ঠিক আছে ৷ পাহারায় থাকা আধাসামরিক বাহিনীর উপর আমাদের আস্থা আছে ।'' সেখানে কেউ ঢোকার সাহস পাবে না।
আরামবাগের ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট কমিশনের
আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডলঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে কি ঘটনা ঘটেছিল সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সংক্রান্ত তথ্য জমা পড়ে কমিশনে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই রিপোর্ট ঘিরে ওঠে বিভিন্ন প্রশ্ন।
রিপোর্ট ঘিরে উঠছে প্রশ্ন, ফের সক্রিয় কমিশন
তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা খাঁকে বাঁশ হাতে তাড়া করা হয় বলে বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও সেই ঘটনার কোনও উল্লেখই নেই পুলিশ সুপারের রিপোর্টে। কমিশনকে দেওয়া রিপোর্টে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতহাতি হচ্ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুজাতা। ছোটখাটো জখমের খবর মিলেছে। বাকি নির্বিঘ্নেই ভোট মিটেছে বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার। তবে এই রিপোর্ট ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। এমনকি রিপোর্টে খুশি ছিল না কমিশনও। নতুন করে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে কমিশনও।