বিজেপিকে তীব্র তোপ মমতার
ভাঙা পা এবং হুইল চেয়ারে বসেই একের পর এক সভা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সমস্ত সভা থেকেই বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার জন্যে সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বিজেপিকে শয়তানের দল বলেও তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি কমিশনের শোকজ নিয়েও মন্তব্য করেন মমতা।
শোকজ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
শোকজ নিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে দশটা শোকজ করলেও যায় আসে না। উত্তর একই হবে। নন্দীগ্রামে মুসলিমদের যাঁরা পাকিস্তানি বলেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কটা অভিযোগ হয়েছে? নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, সব হোটেলে ভর্তি ভর্তি টাকা জমা করে রাখা হয়েছে। সবাইকে টাকা দিয়ে কিনে দিচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। টাকাতে বিক্রি হয়েছে অনেক গদ্দার। গদ্দার একটা, দুটো হয়, সব হয় না। তবে বাংলায় বিজেপিকে লড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়।
৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে মমতার মন্তব্য
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে প্রচারে গিয়ে। ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফায় তারকেশ্বরে ভোট হয়েও গিয়েছে। তারকেশ্বরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিমদের কাছে বিজেপিকে ভোট না দিতে আহ্বান জানান। তিনি হাত জোর করে বলেন, সংখ্যালঘু ভাই ও বোনেরা সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না। অনেকেই বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিশানা করেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকিকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত নিশানা করেছিলেন আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকিকে। তিনি বিজেপি থেকে টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ ছিল, বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করতে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিপিএম।
মমতাকে কটাক্ষ মোদীর
সংখ্যালঘুদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন নিয়ে কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছিলেন, দিদি মুসলিমদের প্রতি আহ্বান করেছেন, যেন তারা তাঁকেই (মমতা) ভোট দেন। পাল্টা হিসেবে বিজেপি কি বলতে পারে হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হোন। তা করলে তো সবাই বিজেপির সমালোচনা করত। আর নির্বাচন কমিশনই বিষয়টি নিয়ে নোটিশ পাঠাত। মোদী আরও বলেন, এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যেসব মানুষেরা আপনাকে সমর্থন করতেন, এখন তাঁরা আপনাকে ছেড়ে যাচ্ছেন। সেই কারণেই মুসলিমদের কাছে জোট বাধার আহ্বান।
অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ৪৮ ঘন্টা সময়
নির্বাচন কমিশনের তরফ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ৪৮ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে। কেননা তারপরেই নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের প্রতি আবেদন করার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মোক্তার আব্বাস নাকভির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে ওই মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে।