কেরলেও কী বঙ্গের সমীকরণে হাঁটছে গেরুয়া শিবির, বাম দুর্গে ফাটল ধরিয়ে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গড়ার মরিয়া চেষ্টা

বাংলা,ত্রিপুরা হাত থেকে গেছে। একা কেরলেই বুধির গড় আগলাচ্ছে বামেরা। সেই লালদুর্গে ফাটল ধরাতে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গড়া অঙ্ক কষতে শুরু করেছে বিজেপি। তাহলেই কেল্লা ফতে। কারণ একবার কেরলে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গড়তে পারলে, কর্নাটক-মধ্যপ্রদেশের খেলা খেলতে মুহূর্ত সময় নেবে না বিজেপি শিবির। কেরলের বিজেপি নেতা ই-শ্রীধরন দাবি করেছেন বিধানসভা ভোটে হাসতে হাসতে বিজেপি ৩৫ থেকে ৪০টি আসন পাবে।

বাম দুর্গে ফাটল ধরানোই টার্গেট

অবিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে কেরল। কেরলে সরকার বদল হলে বিজেপি কখন ক্ষমতায় আসেনি। যেমনটা আসেনি পশ্চিমবঙ্গে। ঠিক সেই ভাবেই কেরল দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। যেকোনও কৌশলে কেরল বিধানসভা ভোটে বামেদের নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা থেকে আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও এখনও পর্যন্ত পিনারাই বিজয়নের মুখ্যমন্ত্রিত্ব বেশ জনপ্রিয়। সেই জনপ্রিয়তায় ফাটল ধরানো খুব একটা সহজ কাজ হবে না। করোনা মোকাবিলায় সাফল্য থেকে শুরু করে বিধ্বংসী বন্যার পর কেরলকে যেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে কাজ করেছ পিনারাই বিজয়ন সরকার তাতে তাঁর জনসমর্থক বেশ পাকা হয়েছে।

ত্রিশঙ্কু বিধানসভাই টার্গেট

কেরলের বিজেপি নেতা ই শ্রীধরন দাবি করেছেন বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৩৫ থেকে ৪০টি আসন পাবেই। যদিও আগে বিজেপি দাবি করেছিল ৪০ থেকে ৭৫টি আসনের। পালাক্কাড জেলায় ১০,০০০-রও বেশি ভোটে জিতবে বিজেপি এমনই দাবি করেছেন শ্রীধরন। ১৪০ আসনের বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি যদি ৩৫ থেকে ৪০ আসন পায় তাহলে বামেদের আর নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়া হবে না। কেরলে এবার বিজেপির তারকা প্রার্থী মেট্রো ম্যান। তাঁকে সামনে রেখেই প্রচারের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে গেরুয়া শিবির।

লালদুর্গে ফাটল ধরানোই চ্যালেঞ্জ

দেশে তিনটি মাত্র রাজ্য ছিল বামেদের দখলে। ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ আর কেরল। তারমধ্যে ত্রিপুরা ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গেও বামেদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে। সরকার চলে গিয়েছে ১০ বছর আগেই। একা গড় আগলে বসে আছে কেরল। সেই কেরলের লালদুর্গে ফাটল ধরাতে পারলে বিজেপির অর্ধেক কেল্লা ফতে। তাই যেকোনও ভাবে কেরলে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি।

ঘোড়া কেনাবেচার ইঙ্গিত

পশ্চিমবঙ্গে যেমন ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গড়ার দিকে দ্রুত এগোচ্ছে বিজেপি ঠিক একই ভাবে কেরলেও টার্গেট করে বসেছেন অমিত শাহরা। কারণ ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গড়তে পারলে বামেদের সাম্রাজ্যে ঘুন ধরানোর কাজ সুগম হবে।

অনায়াসেই তাহলে ঘোড়াকেনা বেচার কাজ করতে পারবে গেরুয়া শিবির। ঠিক যেমনটা করে মধ্যপ্রদেশ ও কার্নাটকে কংগ্রেসের জোট সরকারের সরকারের পতন ঘটিয়েছিল তারা।

Know all about
পিনারাই বিজয়ন