নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ ৫৭ হাজার হতেই মানুষের মধ্যে একটা আশঙ্কা কাজ করছিল যে আবার দেশের করোনা সংক্রমণ এক লক্ষের গন্ডি পার করতে পারে। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার জন। যা চলতি বছরের সমস্ত রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ২৬৫ জন। এর ফলে দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ লক্ষ ৫ হাজার ২১ জন। করোনার মরণ কামড়ে প্রাণ হারিয়েছে ৬৮৪ জন। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৬২ জন।গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৯হাজার ২৫৮ জন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই কম।যা রীতিমতন কাঁপুনি ধরাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৯৩। গত ২৪ ঘন্টায় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯ হাজার ২৯২ জনকে।

এদিকে দেশের যাবতীয় চিন্তা বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ হাজার ৯০৭ জন। এই মুহুর্তে রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৫ লক্ষ ১ হাজার ৫৫৯ জন। সংক্রমণ কাঁপুনি ধরাচ্ছে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে ১০ হাজার ৪৪২ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু মুম্বই শহরেই এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মু্ম্বইয়ে করোনার বলি ১১ হাজার ৮৫৬ জন।

মোট আক্রান্তের নিরিখে এরপরই রয়েছে ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ছত্তিশগড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩১০ জন। কর্ণাটকে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার ৯৭৬ জন। উত্তপ্রদেশে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার ২৩ জন। দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত ৫ হাজার ৫০৬ জন। মধ্যপ্রদেশে করোনা আক্রান্ত ৪ হাজার ৪৩ জন।

এদিকে করোনাকে লাগাম দিতে ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে বসবেন মোদী। যেভাবে রোজ দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, সেই প্রেক্ষিতে সংক্রমণের গতিকে রাশ কীভাবে টানা যায় সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। পাশাপশি টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।