বম্বে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
কিন্তু এদিন পুরনো রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এস কে কল এবং হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ এদিন স্পষ্টতই জানিয়ে দেয় এই মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়া যেভাবে চলছিল সেভাবেই চলবে। গোটা তদন্ত ভার হাতে থাকবে সিবিআই আধিকারিকদের। এমনকী স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা যথেষ্ট গুরুতর বলেও জানায় শীর্ষ আদালত।
ধোপে টিকল না কপিল সিবালের যুক্তি
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যে মহারাষ্ট্র সরকারের উপর নতুন করে চাপ বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। এমনকী রাজনৈতিক মহলে শিবসেনা-এনসিপি-র ভাবমূর্তিও যে অনেকটাই ক্ষুণ্ন হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে অনিল দেশমুখের হয়ে লড়া আইনজীবী কপিল সিবাল এদিন তার মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযেোগের সপক্ষে একাধিকবার সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করলেও তাও বিশেষ ধোপে টেকেনি বলে খবর।
চাপের মুখে পড়ে পদ ছাড়েন অনিল দেশমুখ
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠার পরেই চাপের মুখে পড়ে পদ ছাড়তে বাধ্য হন অনিল দেশমুখ। যদিও এর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত থাকতে পারে বলে শুরুতেই অভিমত পোষণ করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। এদিকে মুকেশ আম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার পরেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পরমবীরকে কমিশনারের পদ থেকে সরিয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার। যা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়।
আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?
সূত্রের খবর, এই পরমবীর সিংই একদা অনিল দেশমুখের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। এমনকী তাঁর নির্দেশেই একাধিক ‘অপরাধও' সংঘটিত করেছেন বিভিন্ন সময়। কিন্তু মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক মেলায় যখন তাঁকেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তখন তিনি সরাসরি মুখ খোলেন অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে। তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে মাসিক প্রায় ১০০ কোটি টাকার তোলাবাজির অভিযোগ তুলে রাজৈনিতক উত্তাপ চড়িয়েছেন মুম্বইয়ের অপসারিত পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ। যদিও এই কাজে অনলকে পরবীরই সাহায্য করতেন বলে অভিযোগ।