ফারাসি সংবাদমাধ্যের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই রাফাল ইস্যুতে ফের উত্তাল হয় ভারতের রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগ ভারত সরকারের সঙ্গে এই চুক্তির সময় ১০ লক্ষ ইউরো দেওয়া হয়েছে ভারতীয় মধ্যস্থতাকারীকে। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা। আর এই টাকা দিয়েছে যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী ফরাসি সংস্থা দাসো। এই তথ্য সমানে আসার পরেই এই গোটা কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় চাপের মুখে পড়েই অবশেষে মুখ খুলল দাসো।
যদিও দাসোর জবাব, ২০০০ সালের গোড়া থেকে, দাসো এভিয়েশন সংস্থার অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সংস্থার অখণ্ডতা, নৈতিকতা এবং খ্যাতির নিশ্চয়তা বজায় রাখতেই আমরা এই রাস্তায় হেঁটেছে। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আমরা ভারতে ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এমনকী গোটা চুক্তি সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য একাধিক তদন্তকারী সংস্থার দ্বারাও সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। তারপরেও কোথাও কোনও গোলযোগ ধরা পড়েনি।
এদিকে দাসোর অডিট করতে গিয়ে ফ্রান্সের দুর্নীতি দমন সংস্থা এজেন্স ফ্যাঙ্কাইজ অ্যান্টিকোরাপশন এই অর্থ সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে বলে জানা যায়। যদিও সেই বিষয়ে সরকারি দাসোর তরফে এখনও কিছু বলা হয়নি। ফ্রান্স থেকে ভারতে ৩৬টি রাফালে বিমান বিক্রি করার পিছনে বড়সড় কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট দাবি করেছে বহুল প্রচারিত ফরাসি তদন্তমূলক সংবাদপত্র 'মিডিয়াপার্ট'। যা নিয়েই চলছে চাপানৌতর।