নয়াদিল্লি: করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজটি নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির AIIMS-এ গিয়ে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দেশবাসীকেও করোনামুক্ত থাকতে টিকা নিতে আবেদন জানিয়েছেন মোদী। এদিন করোনা টিকা নেওয়ার পর টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘AIIMS-এ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজটি পেয়েছি। ভাইরাসকে পরাস্ত করতে টিকাকরণ হল একটি উপায়। আপনি যদি ভ্যাকসিন নেওয়ার যোগ্য হন তবে শীঘ্রই আপনার ডোজটি নিয়ে নিন। রেজিস্টার করুন, http://CoWin.gov.in।’’
দেশজুড়ে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ কাঁপুনি ধরিয়েছে। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। মাত্রাছাড়া সংক্রমণে দিশেহারা দেশের একাধিক রাজ্য। করোনা মোকাবিলায় দেশে দুটি প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার প্রতিষেধকটি এদেশে বানাচ্ছে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট ও হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর মিলে বানাচ্ছে কোভ্যাক্সিন। বর্তমানে দেশে এই দুটি ভ্যাকসিনই প্রয়োগ করা হচ্ছে। সংক্রমণে লাগাম পরাতে দ্রুত গতিতে টিকাকরণ ভালো ফল দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ১৬ জানুয়ারি দেশে টিকাকরণ অভিযানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টিকাকরণের প্রথম পর্বে শুধুমাত্র ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার যাঁরা করোনা যুদ্ধে প্রথম সারিতে কাজ করছেন তাঁদেরই টিকা দেওয়া হয়। টিকাকরণের প্রথম ধাপে টিকা নেন চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে দেশের নিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীরা। টিকাকরণের পরবর্তী ধাপ গুলিতে ৪৫ বছরের উপরের সব মানুষজনকে টিকা দেওয়া চলছে। দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াতে তৎপরতা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১ মার্চ করোনা টিকার প্রথম ডোজটি নিয়েছিলেন। দেশে টিকাকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা নেন মোদী। সেই পর্বে প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের উপরে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছিল। তবে ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের উপরে থাকা প্রত্যেককে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির AIIMS-এ গিয়ে টিকা নিয়েছেন। যাঁরা প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচিত হচ্ছেন তাঁদের প্রত্যেককে করোনার টিকা নিতে উৎসাহিতও করেছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.