বেহালা পশ্চিমে কর্মসূচি বাতিল
এদিন সকালে মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো হওয়ার কথা ছিল বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে। কিন্তু শেষ মুহুর্তে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায়, তা বাতিল হয়ে যায়। থানার সামনেই সাজানো গোছানো অবস্থায় ছিল রোড শো-এ ব্যবহারের জন্য গাড়িটি। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। রোড শো বাতিলের পরে বিজেপির তরফ থেকে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে ডোর-টু-ডোর ক্যাম্পেনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, তারও অনুমতি দেয়নি
হারের ভয়েই এই পদক্ষেপ পুলিশের
হারের ভয়েই মিঠুন চক্রবর্তীর এদিনের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তিনি এলাকার মেয়ে। রোড শো বাতিলের খবর পাওয়ার পরেই থানা ঘেরাও করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। একাধিক রাস্তায় অবরোধও করা হয়। এদিন সকালে তিন কর্মীকে নিয়ে থানায় যান প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। পরে থানা থেকে বেরিয়ে দাবি করেন, পুলিশ কর্মীরা তাঁদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি। পুলিশ। শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনেই পুলিশ এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
বদলের ইঙ্গিত মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে
গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিভিন্ন জেলাতে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করছেন তিনি। এদিন কেন তাঁকে প্রচার করতে দেওয়া হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মিঠুন। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এমন কোনও মন্তব্য প্রচারে আমি করিনি যাতে আমাকে ব্যান করে দেওয়া হয়! একি চলছে রাজ্যে? দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তবে মহাগুরু জানান, কয়েকটা দিন আর দাঁড়িয়ে যান। সবকিছুর বদল হবে। একই সঙ্গে সভা বাতিল নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাবুলও। তিনি জানান। পুলিশ এখনও তৃণমূলের কথা মতো চলছে। তবে এভাবে বেশিদিন চলতে পারবেন না তাঁরা।
পালটা দাবি তৃণমূলের
তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পুলিশ প্রশাসন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সভার অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব কমিশন পুলিশের। এখানে তৃণমূল কি করবে? ইচ্ছাকৃত ভাবে তৃণমূলের নাম এই ঘটনার সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে বলে দাবি বর্ষীয়ান এই সাংসদের।
সঠিক সময়ে করা হয়নি আবেদন
তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এই ধরনের অনুমতির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিজেস্ব অ্যাপ রয়েছে। এব্যাপারে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে তাদের কিছুই করার নেই। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে অনুমতি না নেওয়াতেই এই পরিস্থিতি বলেও মনে করছেন শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা।