কলকাতা: বলিউডের মিউজিক ওয়ার্ল্ড থেকে রাজনৈতিক আঙিনায় পা রেখেই সফল হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়ো। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে পরপর দুবার লোকসভায় জিতে সাংসদ হন। আর এবার তিনি টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। ভোটে লড়তে বাবুল এবার যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ রীতিমতো চমকপ্রদ।
বাবুল সুপ্রিয়র আসল নাম হল সুপ্রিয় বড়াল। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর ২৩ মার্চ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বাবুল সুপ্রিয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তার হাতে নগদ ৫১ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর হাতে ৩৭ হাজার টাকা ছিল বলে জানিয়েছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার যে বিনিয়োগ রয়েছে তার মোট পরিমাণ হল ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৬৯ টাকা। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৯ লক্ষ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। বাবুলের বড় মেয়ে শর্মিলীর হাতেও রয়েছে ১৪ হাজার টাকা।
বাবুল এও জানিয়েছেন, এসবিআই এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের দু’টি অ্যাকাউন্টে বাবুলের নামে স্থায়ী আমানত আছে যথাক্রমে ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৪০ টাকা এবং ২ লক্ষ ৩০ হাজার ১০১ টাকা। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের আরও একটি অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৬৬৮ টাকা। চারটি ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে আছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ২৪১ টাকা, ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৫০ টাকা, ৭ হাজার ১৫৯ টাকা এবং ৩৫ হাজার ৭৬৮ টাকা।
বাবুল হলফনামায় জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী দুজনের নামে কোন চাষযোগ্য জমি নেই। অচাষযোগ্য জমি হিসাবে উত্তরাখণ্ডে বাবুল সুপ্রিয়র নামে রয়েছে ২৭০০ স্কোয়ার ফিটের একটি জমি। যার মূল্য ১৯ লক্ষ টাকা। এছাড়াও মুকুন্দপুরে বাবুল এবং স্ত্রী রচনার যৌথ নামে একটি ফ্ল্যাটও আছে। এছাড়াও মুম্বই, আসানসোল ও হাওড়াতেও তাঁর বাড়ি রয়েছে। মোট ৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। যেগুলির বর্তমান বাজারমূল্য যথাক্রমে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, ৬৮ লক্ষ টাকা, ২০ লক্ষ টাকা, ৪০ লক্ষ টাকা, ৩৬ লক্ষ টাকা, ৪০ লক্ষ টাকা এবং ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে তাঁর নামে কয়েকটি গৃহঋণ রয়েছে বলে প্রকাশ পেয়েছে হলফনামায়।
বাবুল সুপ্রিয়র নামে লোন রয়েছে মোট ৮৬ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৮ টাকার এবং তার স্ত্রীর মোট লোনের পরিমাণ হল ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। এই সকল লোন তারা চারটি পর্যায়ে হোম লোন হিসাবে ব্যাঙ্ক থেকে নিয়েছেন।
হলফনামায় ৪টি গাড়ির কথা জানিয়েছেন বাবুল। তার মধ্যে অডি কিউ ফাইভ গাড়িটির দাম ৫০ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩২১ টাকা। শেভ্রোলে বিট-এর দাম ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৭৮ টাকা। হুন্ডাই আই ২০ কিনেছিলেন ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫ টাকায়। এছাড়াও রয়্যাল এনফিল্ড থান্ডারবার্ড মোটরবাইক রয়েছে তাঁর। সেটির দাম ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা। একইসঙ্গে তাঁর হাতে রয়েছে ২০০ গ্রাম সোনা। যার বাজারদর ৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে রয়েছে ৩০০ গ্রাম সোনা, তার মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.