এক বছর ধরে করোনা ভাইরাসের জন্য আংশিক গৃহবন্দি। তার মধ্যে চৈত্রের গরম আর কাজের চাপে একদম নাজেহাল অবস্থা। যখন মন চাইছে সাময়িক নিস্তার, তখন হাওয়া বদল সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার জন্য অফিস থেকে দীর্ঘ ছুটি পাবেন কিনা সেই চিন্তায় যখন ওষ্ঠাগত প্রাণ , ঠিক সময়ে আপনাদের জন্য রইলো ৩ দিনে খুব সহজেই ঘুরে আসা যায় এমন এক টুরিস্ট স্পটের ঠিকানা। লামাহাটা।

২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ইকো টুরিসম পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
লামাহাটা দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত এক ছোট্ট গ্রাম, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৭০০ কিলো মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই গ্রামটি মূলত তামাং, ধুকপা, ভুটিয়া ইত্যাদি পার্বত্য উপজাতির বসবাস। ইকো ট্যুরিজম পার্কে ঢুকতে গেলে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ঢুকতে হবে। পার্কে একবার ঢোকার পর যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই পাহাড় আর পাইনের অপরূপ শোভা আপনার চোখ জুড়িয়ে দেবে। এখানে রয়েছে একটি কাঠের তৈরী ওয়াচ টাওয়ার সেখান থেকে লামাহাটার সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। যাঁরা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি আদর্শ যায়গা হতে পারে। এই পার্ক থেকে ৭৫০ মিটার ওপরে রয়েছে একটি সুন্দর লেক। একাবাকা পথ ধরে ট্রেক করে যেতে হয় সেই লেকে।

কীভাবে আসবেন: লামাহাটা যাওয়ার জন্য নিকটতম রেল স্টেশনটি হলো নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন। সেখান থেকে লামাহাটার দূরত্ব প্রায় ৭২ কিলোমিটার। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে লামাহাটার দূরত্ব প্রায় ৭৭ কিলোমিটার। নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন বা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে লামাহাটা যাওয়ার জন্য ছোটো বড় সব ধরনের শেয়ার বা রিজার্ভ গাড়ি পাওয়া যায়। রিজার্ভ গাড়ির আনুমানিক ভাড়া ৩০০০ – ৩৫০০ টাকা।

কোথায় থাকবেন: লামাহাটাতে থাকার জন্য রয়েছে লামাহাটা লজ। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু হোম স্টে। খাওয়া দাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা সেখানেই করা আছে। তবে যাওয়ার আগে থাকার যায়গা বুক করে যাওয়া ভালো।
আশেপাশে দর্শনীয় স্থান:লামাহাটা থেকে ৫ কিমি দূরে রয়েছে পেশক চা বাগান অবশ্যই দেখবেন। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার একটু অপরূপ ভিউ পাওয়া যায়। এছাড়াও লামাহাটা থেকে ১০ কিমি দূরে রয়েছে লাভারস মিট ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে তিস্তা ও রঙ্গিত নদীর মিলনস্থল ভালো ভাবে দেখতে পাওয়া যায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।