ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের হাত থেকে মুক্তি পেলেন কোবরা জওয়ান
দীর্ঘ লড়াই শেষে মিলল কাঙ্খিত মুক্তি! ছত্তিশগড়ের বীজাপুরে মাওবাদীদের হাত থেকে মুক্তি পেলেন অপহৃত কোবরা জওয়ান রাকেশ সিং মানহাস। গত ৩ তারিখ বীজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রাকেশ।

বীজাপুরের জঙ্গলে সেদিন একের পর এক গুলি চলার আওয়াজ। মুহূর্তে লুটিয়ে পড়ছেন বহু জওয়ান। রক্তস্নান দেখেছে বীজাপুরের গভীর অরণ্য। সতীর্থ জওয়ানদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অনেকে। এদিকে, গরমের তীব্র দাবদাহের মাঝেও সতীর্থদের নিয়ে হাসপাতাল পৌঁছতে গিয়ে কেউ কেউ ফেলে দিয়েছিলেন পিঠের ব্যাগে থাকা জলের বোতল। এরপর করুণ পরিস্থিতিতে জলকষ্টেও জঙ্গলের মাঝ রাস্তায় মৃত্যু হয় বহু জওয়ানের।
এদিকে, মাওবাদী নেতা হিদমার পাতা ফাঁদে যখন দেশের একের পর এক বীর সেনা শহিদ হচ্ছেন, তখনই ৩ এপ্রিল ওই এনকাউন্টারের কেন্দ্রস্থল থেকে রাকেশ্বর সিং মানহাসকে তুলে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। খবর আসে, তিনি অপহৃত। মুহূর্তে আতঙ্ক গ্রাস করতে থাকে রাকেশ্বর সিংয়ের পরিজনদের।
এদিকে, ততক্ষণে ২২ জন বীর সেনার শহিদ হওয়ার খবর এসেছে ছত্তিশগড়ের জঙ্গল থেকে। হাসপাতালে তখন আহত ৩১ জন সেনা জওয়ান। অন্যদিকে রাকেশ্বরকে রক্ষা করে আতে তুমুল তৎপরতা শুরু হয়ে যায় নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে। রাকেশ্বরের ছোট্ট মেয়ে মাওবাদীদের প্রতি আবেদন করে। এদিকে, আজকে রাকেশ্বরের মুক্তি নিয়ে সেভাবে সিআরপিএফের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, কয়েকজন মিডিয়াপার্সনের হাত ধরে রাকেশ্বরেক ছাড়া হয়েছে।
এর আগে, রাকেশ সিং যে তাদের দখলে রয়েছেন তার বার্তা দিয়েছিল মাওবাদীরা। জওয়ানের এই ছবি প্রকাশের আগে নিষিদ্ধ সংগঠন দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির (ডিএসজেডসি) পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি করা হয় যে সরকারের সঙ্গে বাধ্যতামূলক কথোপকথনের পরই জওয়ানকে ছাড়া হবে। মাওবাদীরা যে ছবি সামনে এনেছে, তা কোবরা জওয়ান রাকেশ্বর সিং মনহাসের, যিনি একটি অস্থায়ী আশ্রয়স্থানে প্লাস্টিকের ওপর বসে রয়েছে, এটা সম্ভবত মাওবাদীদের শিবির।