ওয়াশিংটন: ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। যে হারে দেশের সংক্রমণ সংখ্যা বাড়ছে তাতে যদি আবার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে ভেঙে পড়তে পারে দেশের অর্থ ব্যবস্থা, এই আশঙ্কায় দিন কাটছে বিশেষজ্ঞদের। করোনার দাপটে যখন কাঁপছে দেশের অর্থ ব্যবস্থা তখন আশার আলো শোনালো আইএমএফ( International Monetary Fund)।তাদের কথা অনুযায়ী ভারতের অর্থনীতি বিকাশ হবে ১২.৫ শতাংশ হারে।
আইএমএফ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতের অর্থনীতি বিকশিত হবে ৬.৯ শতাংশ হারে। ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৮ শতাংশ হারে।তবে রিপোর্ট বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তুলনামূলকভাবে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ২০২১ সালে ৬ শতাংশ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে ফের এতটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা সত্যিই অকল্পনীয়। গত বছর একমাত্র চীনের অর্থনীতি বিকশিত হয়েছিল ২.৩ শতাংশ হারে। ২০২১ সালে তা ৮.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২২ এ চীনের অর্থনীতি বিকশিত হবে ৫.৬ শতাংশ হারে।
আইএমএফ-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ জানান, ‘আগের পূর্বাভাসের তুলনায় অনেকটাই দ্রুত হারে চেনা ছন্দে ফিরছে অর্থনীতি। ২০২১ ও ২০২২ সালে বৃদ্ধির পরিমাণ আগের তুলনায় বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। আগে আমরা ভেবেছিলাম ২০২১ সালে বিকাশ হবে ৬ শতাংশ। ২০২২ সালে বিকাশ হবে ৪.৪ শতাংশ ‘।২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ৩.৩% সঙ্কুচিত হয়। ফলে সেই পরিস্থিতির নিরিখে এই রিপোর্ট বেশ আশাব্যাঞ্জক।
অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ আরও বলেছেন, এখন এই মহামারীর সংকট থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা চালাতে হবে। জনস্বাস্থ্য, টিকাকরণ, পরিকাঠামোর উপর নজর দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ২৬৫ জন। করোনার মরণ কামড়ে প্রাণ হারিয়েছে ৬৮৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৯হাজার ২৫৮ জন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই কম।যা রীতিমতন কাঁপুনি ধরাচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.