ওয়াশিংটন: গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ত্রাস। সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। এহেনপরিস্থিতিতে করোনার উৎপত্তিস্থল নিয়ে ধন্দে রয়েছে বিশেষজ্ঞরা।ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনকে আবারও করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের উৎস জানতে নতুন করে তদন্ত শুরু করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই এই মারণ ভাইরাস সম্পর্কে চীনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তীব্র নিন্দা করে বলে যে, দেরি না করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন করে তদন্ত শুরু করা উচিত, সারা বিশ্বকে সংকটে ফেলেছে এই ভাইরাস। অথচ এই ভাইরাসের উৎপত্তি কোথা থেকে সেই নিয়ে কোনো পর্যাপ্ত তথ্য নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে এটা স্পষ্ট যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব রয়েছে। তথ্যের অভাবে ওই রিপোর্ট এক্সেস করা সম্ভব নয়। এটি একটি অসম্পূর্ণ রিপোর্ট।এটা শুধু আমরা বলছি না। অন্যান্য দেশও একই মত পোষণ করেছে। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুরোধ করছি যাতে এই গবেষণাটির দ্বিতীয় পর্যায়টি আর দেরি না করে শুরু হয়। এই তদন্ত বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালনা করা উচিত এবং এতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা উচিত। এই তদন্ত যেন রাজনৈতিক সহ যে কোনও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত হয়। ‘
নেড প্রাইস আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টি আবার পর্যালোচনা করা উচিত। সঠিক তথ্য জানতে পারলে এই মারণ ভাইরাস সম্পর্কে গবেষণা করতে সুবিধা হবে।এবং এই সংক্রমণকে লাগাম পরানো যাবে।’
৩৪ বিশেষজ্ঞের একটি দল চীনের উহান শহরে ১৪ দিনের তদন্তের পরে বলেছিল যে, ভাইরাসটির উৎস এই মুহুর্তে পাওয়া যায়নি এবং এটি নিয়ে আরও বিশদ তদন্তের প্রয়োজন আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেদ্রোস অ্যাধনম গ্র্যাব্রেইসাসও কোভিড -১৯-এর প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের জন্য চীনে বিশেষজ্ঞদের দলটির যে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হয়েছিল তা স্বীকার করেছে।
ইতোমধ্যে, মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মাদার্নার কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিনের অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি নির্ধারণের জন্য একটি গবেষণা শুরু করেছে।মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট-এর প্রধান জনিয়েছেন, ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মাদার্নার কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অ্যালার্জির সমস্যা অত্যাধিক বেড়ে গিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.