কলকাতা: ভোটের বাংলায় বিপদ করোনা। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে নতুন করে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৩০০-এরও বেশি মানুষ। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি হয়েছেন ৮ জন। সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতিতে থরহরি কম্প দশা। করোনা নিয়ে রাজ্যের একাংশের বাসিন্দাদের হেলদোলহীন আচরণের জন্যই সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলায় চলছে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহেই এবার পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। এবার এক ধাক্কায় ২ হাজার ৩৯০ জন একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই সংক্রমণ ধীরে-ধীরে বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের শুরুর দিকেও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী থাকায় স্বস্তিতে ছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হল না। ভোট শুরু হতেই লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক সংক্রমণ।

বুধবার সন্ধেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,৩৯০ জন। তাঁদের মধ্যে ৭২২ জনই কলকাতার। সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাই শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে শহর কলকাতা লাগোয়া এই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৮ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া জেলা। একদিনে হাওড়ার ২২৪ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। চতুর্থ স্থানে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২২ জন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬, ০০, ০২৪।

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ তাণ্ডব চালাচ্ছে গোটা দেশে। মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘুম উড়েছে সে রাজ্যের সরকারের। সংক্রমণের নয়া রেকর্ড মহারাষ্ট্রে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে একদিনে সেরাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। লাগামছাড়া সংক্রমণ মোকাবিলায় দিশেহারা মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। সব মিলিয়ে সে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩১ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৬১। করোনায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৬ হাজার ৬৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।