চেন্নাই: দেবদূত পারিক্কলের পর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অল-রাউন্ডার ড্যানিয়েল স্যামস৷ তবে বুধবার ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির জন্য ভালো খবর, ওপেনার পারিক্কলের সর্বশেষ কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ এদিনই চেন্নাইয়ে টিম হোটেলে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরসিবি-র বাঁ-হাতি ওপেনার৷ তবে বিসিসিআই-এর প্রোটোকল অনুসারে ৯ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না পারিক্কল৷
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তরফে বুধবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান দেবদূত পারিক্কল বোর্ডের প্রোটোকল অনুসারে কোভিড-১৯ টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ৭ এপ্রিল দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে৷ তবে আরসিবি মেডিকেল টিম সবসময় দেবদূতের স্বাস্থ্যের খবর রেখে চলেছে৷’
গত ২২ মার্চ বেঙ্গালুরুর বাড়িতেই পারিক্কলের কোভিড-১৯ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল৷ ফলে এতদিন দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি তিনি৷ বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন৷ কিন্তু এদিনই তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসার কথা সরকারিভাবে দলের তরফে জানানো হয়৷ মরু শহরে ২০২০ আইপিএলে আবির্ভাবেই চমকে দিয়েছিলেন ২০ বছরের দেবদূত। কোহলির দলের ওপেনিংয়ে বাড়তি সাহারা জুগিয়েছিলেন কর্ণাটকের এই ব্যাটসম্যান। চোখধাঁধানো ব্যাটিং স্টাইলে তামাম অনুরাগীদের মুগ্ধ করেছিলেন পারিক্কল।
১৫ ম্যাচে ৪৭৩ রান এসেছিল দক্ষিণী এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। অর্ধ-শতরান করেছিলেন ৫টি। চলতি বছর ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতেও ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন এই কর্ণাটকি ব্যাটসম্যান। প্রথমে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ২১৮ রানের পর বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৭ ম্যাচে ৭৩৭ রান এসেছিল পারিক্কলের ব্যাট থেকে। পৃথ্বী শ’র পরে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। সুতরাং ফর্মে থাকা পারিক্কলকে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে না-পাওয়াটা কোহলির দলে কাছে ধাক্কা।
এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের নীতিশ রানা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেল করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে৷ দেবদূতের মতো নীতিশ করোনা মুক্ত হয়ে দলের সঙ্গে ট্রেনিং করলেও অক্ষর প্যাটেল এখনও কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন৷ ১০ এপ্রিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে অক্ষরকে পাবে না দিল্লি ক্যাপিটালস৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.