ভোপাল: দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধমুখী। করোনাকে রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। কিন্তু এবার সেই করোনা গাইডলাইন না মেনে চলার পরিপ্রেক্ষিতেই মধ্যপ্রদেশ থেকে সামনে এল এক নিষ্ঠুর ঘটনা। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে এক ব্যক্তি ঠিক ভাবে মাস্ক না পড়ায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটাল দুই পুলিশ আধিকারিক।

জানা গিয়েছে, পুলিশের হাতে বেধড়ক মার খাওয়া ওই ব্যক্তির নাম কৃষ্ণা কেয়ের। তাঁর বয়স ৩৫, পেশায় একজন অটো চালক। ঘটনার দিন সে তাঁর অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছিল, সেসময় তাঁর মাস্কটি নাক থেকে খুলে নেমে আসে। সেটা দেখেই দুই পুলিশ গিয়ে তাঁকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে আসতে চায়। কিন্তু ওই ব্যক্তি থানাত আসতে রাজি না হলে রাস্তায় ফেলে তাঁকে মারতে শুরু করে পুলিশেরা।

রাস্তায় পথচারীরা পুরো ঘটনার ভিডিও মোবাইলে রেকর্ড করে রাখেন। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে নির্দয় ভাবে লাথি ও ঘুষি মারছে পুলিশেরা। অন্যদিকে নিজেকে কোনোরকমে বাঁচানোর চেষ্টা করছে ওই ব্যক্তি। একই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে থাকা ছোট ছেলে রাস্তায় বসেই সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে।

প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার মধ্যেই এই নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটে। পথচলতি মানুষেরা ঘটনা দেখে থমকে যায়, কেউ ভিডিও-ফোটোও তোলেন, কিন্তু কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।

পরে ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে চিহ্নিত করা হয়। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেলে ওই দুই পুলিশকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন অংশে মাস্ক না পড়া ব্যক্তিদের মারধর করার অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি সাধারণ মানুষ রাস্তায় যদি কোথাও খাবার খেতে গিয়ে মাস্ক খুলছেন, সেখানেও হাজির হয়ে যাচ্ছে পুলিশেরা। যা রীতিমতো আশঙ্কার!

অন্যদিকে সারা দেশে সংক্রমণের গতি অব্যহত রয়েছে। ফের ১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়াল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এটাই দেশে অতিমারী ছড়ানোর পর থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। করোনার এই চোখ রাঙানিতে থরহরি কম্প দশা রাজ্যে-রাজ্যে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।