নয়াদিল্লি: লাগামছাড়া সংক্রমণ দেশে। ফের ১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়াল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এটাই দেশে অতিমারী ছড়ানোর পর থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। করোনার এই চোখ রাঙানিতে থরহরি কম্প দশা রাজ্যে-রাজ্যে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে সপ্তাহান্তে লকডাউন, দিল্লিতে নাইট কারফিউয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে ওই রাজ্যগুলিতেও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দেশে অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথম সর্বোচ্চ হারে সংক্রমণ ছড়াল দেশে। মঙ্গলবার দেশজুড়ে একসঙ্গে ১ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন। মঙ্গলবারই করোনা নিয়ে ফের একবার রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেয় কেন্দ্র। আগামী চার সপ্তাহ গোটা দেশের কাছেই ‘অত্যন্ত কঠিন সময়’ বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সামাল দিতে দেশবাসীকে আরও বেশি সতর্ক হতেও আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। একাধিক রাজ্যে করোনাবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। নাইট কারফিউ জারি করেও সংক্রমণে লাগাম পরানোর চেষ্টা হচ্ছে।
করোনার এই সেকেন্ড ওয়েভকে বিশেষজ্ঞরা প্রাণঘাতী বলে বর্ণনা করছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে মাত্রাছাড়া সংক্রমণ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, ছত্তীশগড়, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, গুজরাত, রাজস্থানে প্রতিদিন হাজার -হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৫৫ হাজার৪৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ছত্তীশগড়েও প্রায় ১০ হাজার মানুষ একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে ৫ হাজার ১০০ জন, গুজরাতে ৩ হাজার ২৮০ ও রাজস্থানে ২ হাজার ২৩৬ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সংক্রমণে বেড়ি পরাতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। রাজধানীতে আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি রাত ১০ টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ লাগু থাকবে। তবে এখনই লকডাউন করা হবে কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি কেজরিওয়াল সরকারের তরফে। কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, সংক্রমণ রুখতে দিল্লির সরকার সব বিকল্প পথ এবং ধারণা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ারুখতে নাইট কারফিউয়ের ভূমিকা রয়েছে। তবে দিল্লির সরকার এর উপরই পুরোপুরি নির্ভর করছে না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.