তৃতীয় দফায় এত অশান্তি ঘিরে উদ্বেগে কমিশন
রাজ্য অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করানোটা কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিল কমিশনের কাছে। প্রথম, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটলেও তৃতীয় দফা ছাপিয়ে যায় সবকিছুকে। প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় নির্বাচন কমিশন। একের পর এক জায়গা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসতে থাকে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকে জরুরি তলব করল নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটের উড়ানে তিনি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন নির্বাচনি আধিকারিক দিল্লিতে গিয়েছেন বলে খবর।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন এত অভিযোগ
ভোট গ্রহনের আগেই বাংলায় চলে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরিয়া ডোমিনেশন থেকে বুথ পাহারায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু সেই বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভুরি ভুরি অভিযোগ আসছে। কিন্তু কেন? সে বিষয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। এছাড়াও, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। এমনকী প্রার্থীরা আক্রান্ত হতে হচ্ছে। প্রশ্নের মুখে আইনশৃঙ্খলা। কমিশনের দিকে আঙুল উঠছে। কেন? বিবেক দুবেকে প্রশ্ন করতে পারে কমিশন।
বাকি দফার আগে আরও সতর্ক কমিশন
বাংলায় আরও সাত দফায় নির্বাচন বাকি। অশান্তি প্রবন এলাকাগুলিতে ভোট রয়েছে। সেদিনে তাকিয়ে আরও ২০০ কোম্পানি বাহিনী আসছে বাংলায়। সেদিকে তাকিয়ে আরও সতর্ক হতে চায় কমিশন। তা নিয়ে আলোচনা করে কড় সিদ্ধান্ত কমিশন নিতে চায় বলে জানা যাচ্ছে।
বাংলায় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি
গত ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিবেক দুবে। নির্বাচন কমিশনের জানিয়েছে ১৯৮১ সালে অন্ধ্র প্রদেশ ক্যাডারের আইপিএস বিবেক কুমার। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুদায়িত্ব সামলেছেন তিনি। জঙ্গি দমন থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে এই আইপিএসের নজির রয়েছে। এমনকি নকশালের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও বিবেক দুবের নাম রয়েছে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক কেকে শর্মাকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল বিবেক দুবেকে। কিন্তু তাঁর কাজ নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। অবাধ-সন্ত্রাস নিয়ে বিরোধীদের কোনও কিছুই নাকি শোনেননি তিনি। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল তাঁকে নিয়ে। শাসকদলেরও পালটা ছিল। কিন্তু সেই তাঁকে বাংলায় ফের পাঠায় কমিশন। কিন্তু তাঁর কাজ নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে।