সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : আবারও রগড়ে দেওয়া মন্তব্যের পাল্টা পেলেন দিলীপ ঘোষ। এবারও উত্তর গানের মাধ্যমে। এবার আরও সোজাসুজি এবং তাঁর নাম নিয়ে। দিকে দিকে হও হুঁশিয়ার গানে কটাক্ষ করা হয়েছিল তাঁর দলকে। এবার তাঁকেই আরও একটু রগড়ে দিলেন শিল্পী। তিনি বলেছেন, “ও দিলু তোর নেইকো ঘিলু রগড়ে দিবি আয়,শিল্পী পেলেই দুষ্টু দিলু রগড়ে দিতে চায়। শিল্পের দাম শিল্পীর দম তুই কি বুঝিস হায়,সেলিব্রিটি কিনলে কি আর শিল্পী চেনা যায়।’

এরপরেই দেওয়া হয়েছে উত্তর , ‘শিল্পীরা তোর ধার ধরে না ফার্সট্রু খাবি খা। গোখরো, বাবুল ল্যাজ নাড়াবে শিল্পী দেবে ঘা।” গানটি সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন ‘এই গান শিল্পীদের উপর কটূক্তির প্রত্যুত্তর। শিল্পীরা শিল্পীর মতোই উত্তর দেয়। এই উত্তর তেমনই গানের মাধ্যমে, সুরে সুরে। এটি লিখেছে সংসৃতি-র রনি গোস্বামী। অভিজিৎ আচার্য্য গান গেয়েছে’।

এর আগে গানে গানে বার্তা দেওয়া হয়েছিল ‘দিকে দিকে হও হুঁশিয়ার, রাখতে মাথা উঁচু’এর মাধ্যমে। তারপরের লাইন আরও চমকে দেওয়া ছিল। সোজাসুজি বলা হয় ‘খাল কেটে কুমীর ঘরে আসছে পিছু পিছু’।

৪মিনিট ৪৫সেকেন্ডের গানে বলা হয়, উন্নয়নের বার্তা দিয়ে , বাড়ায় তেল গ্যাসের দাম , রাবণ রাজার শাসন শোষণ ভূতের মুখে জয় শ্রীরাম , বানর সেনার দাদাগিরির ভয়ানক পরিনাম। ছবিতে দেখানো হচ্ছে ‘ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদী’, ‘সাম্প্রদায়িক মোদী’। সঙ্গে সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ, অর্থনীতি তলানিতে ঠেকে যাওয়া, এনআরসি, অযাচিত দেশপ্রেমের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। সোজাসুজি বলা হয়েছে ‘পদ্মফুলের লোভ দেখিয়ে দেশকে ডোবায় পাঁকে, গেরুয়া খোলস, সাপটা কালো সে নিচ্ছে তোমার পিছু, সময় থাকতে হও হুঁশিয়ার রাখতে মাথা উঁচু’।

আসলে একটি সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বেশ কিছু শিল্পীদের গাওয়া ‘আমরা এই দেশেতেই থাকবো’ গানটি তাঁর কেমন লেগেছে। তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘‌আমি শিল্পীদের বলছি আপনারা গান গান, নাচুন। ওটা আপনাদের শোভা পায়, রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের উপর ছেড়ে দিন, না হলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।’‌ রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় শুরু হয়। দিলীপ ঘোষের রগড়ানির প্রথম রগড় দেখান তাঁরই দলের রুপাঞ্জনা মৈত্র। তিনি লেখেন, ‘আজ শিল্পী হয়ে নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। রং মাখি বলে আমাদের এভাবে অপমান করা হবে? ‘রগড়ে’ দেওয়া হবে আমাদের পরিশ্রম। আমাদের নিজেদের কাজের প্রতি সততা নিষ্ঠাকে অসম্মান করা হবে? না ন্যাকামি করছি না। আমার বিজেপি কর্মী-শিল্পীদেরও বলছি, কাপুরুষ হবেন না। সবকিছুর সীমা রয়েছে! আমি এইরকম অসম্মানজনক আচরণকে সমর্থন করি না।’ এরপর একে একে তাঁকে রগড়াতে শুরু করেন আরও অনেক শিল্পীই।

প্রসঙ্গত এর আগেও দিলীপ ঘোষের বিশেষ কিছু নারী বিদ্বেষী এবং বহু কটুক্তি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে তিনি থামার পাত্র নন। তাই হাজার যুক্তি-তক্কো এবং গল্পের পরেও তিনি তার সেই সমস্ত বিতর্কিত মন্তব্যে অনড় থেকেছেন।

 

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।