হুইল চেয়ারে প্রচার মমতার
১০ মার্চ হলদিয়ায় মনোনয়ন পেশ করে নন্দীগ্রামে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সন্ধেয় বিরুলিয়া বাজারে নিজের গাড়ির দরজায় ভিড়ের চাপে পায়ে ও ঘাড়ে আঘাত লাগে তাঁর। সেই সময় থেকেই তিনি এই ঘটনায় বিজেপিকে দায়ী করেছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার রিপোর্টে তেমন কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পায়ে আঘাত লাগার দিনই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুদিন পরেই তিনি বাড়ি যান। এবং হুইল চেয়ারেই প্রচার শুরু করে দেন। তবে এরই মধ্যে তিনি বলেছেন, এক পায়ে বাংলা দখল এবং দুপায়ে দিল্লি দখল। যদিও এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় সঙ্গীত চলায় সময় উঠে দাঁড়াতে এবং নন্দীগ্রামে দলীয় অফিসে পা দোলাতে দেখা গিয়েছে।
তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে খুশি। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। মোদীর দিদি ডাক নিয়ে তৃণমূলের অসম্মানের অভিযোগ সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ওঁর মানসিক অবস্থা যা, তাতে ভালো জিনিসও খারাপ লাগছে। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বিজেপির নেতাদেরই প্রচার করে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, লকেট তো গলাতেই ভালো, পায়ে তো নেই।
ভোট শেষ হলেই উঠে দাঁড়াবেন
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বিজেপি চায় দিদি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই ভোটে লড়াই করুন। তিনি হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। তবে হুইল চেয়ার কোনও ইস্যু নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কটাক্ষ ভোট শেষ হলেই উঠে দাঁড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দোসরা মে-র পর তাঁর চেয়ার থাকবে না।
মমতার হুইল চেয়ার নিয়ে আগেও কটাক্ষ
এর আগেও দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইল চেয়ার এবং পায়ে আঘাত নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, শাড়ি হল শালীনতার প্রতীক। কিন্তু শাড়ি পরেই তিনি পা দেখিয়ে যাবেন, সেটা ঠিক নয়। প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, পা দেখাতে চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাড়ি নয়, বারমুডা পরা উচিত। যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। নিজের মন্তব্যে অটল থেকে দিলীপ ঘোষ শাড়ি ও শালীনতা প্রসঙ্গ টানেন।