শ্রীনগর : স্বাধীনতার পর এই প্রথম। জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরে লাল চকের প্রেস এনক্লেভে উড়ল ভারতের জাতীয় পতাকা। ট্যুইট করে এই খবর দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি বুধবার প্রেস এনক্লেভের দুটি ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Tri-colour 🇮🇳 hosted over Press Enclave at Lal Chowk #Srinagar, for the first time since independence. pic.twitter.com/N6STmu59wd

— Dr Jitendra Singh (@DrJitendraSingh) April 7, 2021

জম্মু কাশ্মীরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্ণরের নির্দেশে শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভের মত প্রাচীন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিন কয়েক আগেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় উপত্যকার একটি পুরোনো হাসপাতাল এসকেআইএমএস সৌরতে।

এই ইস্যুতে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সার্কুলার জারি করেন কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার পি কে পোল। মার্চ মাসেই জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল প্রতিটি সরকারি স্কুলে একটি করে সাইনবোর্ড থাকবে, যার মধ্যে থাকবে ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি।

কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে একাধিকবার বাধার মুখে পড়েছে প্রশাসন। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে বিজেপি কর্মীরা লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেছিলেন।পরিবর্তে আটক হতে হয় তাঁদের। একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে গোটা ঘটনাকে রেকর্ড করে।

গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। ভিডিওতে দেখা যায় ভারত মাতা কি জয় শ্লোগান দিতে দিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন ওই বিজেপি কর্মীরা। এর কিছুক্ষণ পরেই কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল পিডিপির দফতরে জাতীয় পতাকা লাগানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। যে ঘটনা থেকে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

দিন কয়েক আগেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন ‘‘যতদিন কাশ্মীরের জন্য নির্ধারিত পতাকা না ফেরানো হবে ততদিন দেশের জাতীয় পতাকাকেও সম্মান দেখানো সম্ভব নয়। আমাদের পতাকা ফিরিয়ে দেওয়া হলে ফের আমরা জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নেব।’’

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবিতে উপত্যকার বিজেপি বিরোধী জোটে রয়েছে তাঁর দল পিডিপি। বিরোধীদের এই জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।