কোচবিহারে দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা
এদিন শীতলকুচিতে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভা শেষের পরে ফেরার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। হামলায় দিলীপ ঘোষের গাড়ির কাঁচ ভাঙে। তাঁরও আঘাত লাগে। অন্যদিকে কনভয়ে থাকা একাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে।
হামলা নিয়ে দ্বিমত তৃণমূল শিবিরে
এই হামলার পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে জানা, তিনি বিস্তারিত না জানলেও, যে জায়গায় হামলা হয়েছে, সেখানে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই হামলা বলে দাবি করেছিলেন তিনি। পরে ফিরহাদ হাকিমও একই সুরে বলেন, দিলীপ ঘোষ অনেকদিন খবরে ছিলেন না। যাবতীয় খবর নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরাই শুষে নিচ্ছিলেন। তাই খবর হতেই এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় বিজেপির গুণ্ডারা প্রথমে হামলা চালায়।
সৌমিত্র খানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ
এদিন দিলীপ ঘোষের ওপরে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। এর নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
মমতার মুখ বন্ধের দাবি
এদিন দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উসকানির জেরেই হামলার ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাধা দিতেও উসকানি দিচ্ছেন তিনি। আগুন জ্বালিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেতার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশন যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, দাবি করেছেন তিনি।
বুধবারেই মমতাকে নোটিশ কমিশনের
এদিকে এদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সংখ্যালঘু ভাই বোনের সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। সব ভোট তৃণমূলকেই দিন। যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মোক্তার আব্বাস নাকভি। এরপরেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলে নির্বাচন কমিশন।