ওয়াশিংটন: মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মারা গেলেন কোয়ান্টাম অফ সোলাস এবং হ্যারি পটারের তারকা পল রিটার। বহু দিন থেকে তিনি ব্রেন টিউমারে ভুগছিলেন। তাঁর প্রতিনিধি একটি চ্যানেলে এখবর জানান। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি পল আর নেই। গতকাল রাতে পল আমাদের ছেড়ে চলে যান। নিজের বাড়িতেই তিনি মারা যান। পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী পলি এবং দুই পুত্র ফ্রাঙ্ক ও নোয়া। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে পল আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।’
থিয়েটার এবং টেলিভিশন সিরিয়ালেও কাজ করেছেন তিনি। ২০০৭ সালে পলের অভিনিত সিরিয়াল ইনস্টিনক্ট। পল একজন ভার্সাটাইল অভিনেতা। তিনি ‘ফ্রাইডে নাইট ডিনার’ এ শহরতলীর পিতৃতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আবার ‘চেরনোবিল’ এ হয়ে উঠেছেন নিউক্লিয়ার ডিসাস্টার সৃষ্টি কারক সোভিয়েত ইঞ্জিনিয়ার। পুলিং, হেনরি VI, হেনরি V এর মতো সটকম গুলিতে পলকে কমেডি চরিত্রেও অভিনয় করতে দেখা গেছে। ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দা হাফ ব্লাড প্রিন্স’ এ পলকে দেখা গেছে উইজের্ড এল্ড্রেড ওয়র্পেলের ভূমিকায়। জেমস বন্ড এর ‘কোয়ান্টাম অফ সোলাস’ এ তিনি বিচক্ষণ রাজনৈতিক অপারেটরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
পল কলেজ শেষ করে জার্মানির হামবুর্গে German National Theatre এ যান। সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি তার স্টেজ নাম রাখেন রিটার। তার জন্ম নাম সিমন পল অ্যাডামস। চলচিত্র জগতে তিনি পল রিটার নামেই খ্যাত।
ব্রিটিশ চলচিত্র জগতে পলের বেশ সুনাম আছে। তাঁর সাথে কাজ করা প্রত্যেক ব্যক্তি পলকে খুবই পছন্দ করেন। ‘ফ্রাইডে নাইট ডিনার’ এর পরিচালক রবার্ট পপার বলেছেন, ‘পল একজন ভালো এবং চমৎকার মনের মানুষ। তিনি ভীষণ দয়ালু এবং যত্নশীল। আমার কাজ করা অন্যতম সেরা মানুষদের মধ্যে পল একজন।’
চেরনোবিল এর স্ক্রীন রাইটার ক্রেইগ মাজিন টুইট করে লিখেছেন, ‘ভীষণ ভদ্র, সভ্য এবং বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ ছিলেন পল। গতকলা আমরা তাকে হারিয়েছি। ওনার সঙ্গে খুব কম কাজের অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। আশা রাখি তার পরিবারের সদস্যরা যেনো এই শোক দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে।’
পল ২০০৬ সালে ‘কোরাম বয়’ এর জন্য প্রথম Olivier award এ মনোনীত হন। তারপর ২০০৯ সালে ‘দা নরমান কনকিউস’ এর জন্য Tony award এ মনোনীত হন। ২০১৯ এ ‘চারনবিল’ এর জন্যে Online Film and Television Association এ মনোনীত হয়েছিলেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.