রাজ্যে আর মাত্র তিনদিনের মতো ভ্যাকসিন রয়েছে
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্যে আর মাত্র তিনদিনের মতো ভ্যাকসিন রয়েছে। আমরা কেন্দ্রকে আরও ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছি। রাজ্যে প্রতিদিনই প্রচুর সংখ্যায় মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। মুম্বইয়েও ভ্যাকসিন প্রায় শেষ। আজ ১৪ লক্ষ ডোজ রয়েছে। যার মানে এই দিয়ে আর তিন দিন চালানো সম্ভব। প্রতি সপ্তাহে আমাদের ৪০ লক্ষ ডোজ প্রয়োজন হয় যাতে প্রতিদিন আমরা ৫ লক্ষ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দিতে পারি।'
'ডোজ না থাকার কারণে মানুষকে ফেরত পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে'
রাজেশ টোপ জানিয়েছেন, 'মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ টিকাকরণ কেন্দ্রে কোনও ভ্যাকসিন নেই। সেগুলিকে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি আমরা। ডোজ না থাকার কারণে মানুষকে ফেরত পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে। আমরা তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধনকে অনুরোধ করছি আমাদের আরও ভ্যাকসিন পাঠাতে।'
প্রথম ঢেউয়ের থেকেও বেশি দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ে
এদিকে করোনার প্রথম ঢেউয়ের থেকে আরও বেশি দ্রুত করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ে৷ মঙ্গলবার নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে একথা জানানো হয়েছে৷ যেখানে বর্তমান সংক্রমণের হার নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে নীতি আয়োগ৷ তবে, এই সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব বলে জানিয়েছে নীতি আয়োগের ওই কর্তা৷ এই মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রয়েছে৷ যা গত একবছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা৷ আর এনিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত সতর্ক করা হচ্ছে৷
সার্বিকভাবে গোটা দেশেই সংক্রমণ বাড়ছে
করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এবার প্রোমাদ গুনতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে শুরু করে নীতি আয়োগ পর্যন্ত৷ এনিয়ে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ৷ তিনি বলেন, 'অতিমারী প্রথমবারের থেকে অনেক বেশি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে৷ যা কয়েকটি রাজ্যে খুবই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে৷ তবে, সার্বিকভাবে গোটা দেশেই এই সংক্রমণ বাড়ছে৷'