সিঙ্গুর: ফের রাজ্যে ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সমর্থনে শাহের রোড শো। সিঙ্গুরের দুলেপাড়া মোড় থেকে সিঙ্গুর থানা পর্যন্ত শাহি রোড শোয়ে উপচে পড়া ভিড়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে রোড শোয়ের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। গাড়িতে অমিত শাহের পাশেই এদিন ছিলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
সিঙ্গুরে অমিত শাহ। সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী অশীতিপর রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে দলের প্রতি অভিমান হয় বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের। প্রকাশ্যে সেকথা জানিয়েওছিলেন তিনি। শেষমেশ বিজেপিতেই যোগ দেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তাঁকে এবারের ভোটে সিঙ্গুর থেকেই টিকিট দিয়েছে দল। বিজেপিতে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যই এবারের সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী। প্রথমে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী পদ থেকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভও চলে একটানা কয়েকদিন ধরে। তবে এবার পরিস্থিতি বদলেছে। অন্তত বুধবার অমিত শাহের রোড শোয়ে বিপুল জনপ্লাবনই সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বুধবার সকালে নির্ধারিত সময়েই সিঙ্গুরে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে স্বাগত জানান দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এদিন সকাল থেকেই সিঙ্গুরের দুলেপাড়া মোড় চত্বরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত শুরু হয়েছিল। অমিত শাহ রোড শোয়ে হাজির হওয়ার আগেই গোটা এলাকা বিজেপি কর্মীদের দখলে চলে যায়। এদিন সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়েই দুলে পাড়া মোড় থেকে শুরু হয় শাহি রোড শো। গাড়ির সামনে ও পিছনে বিপুল জনজোয়ার।
রোড শোয়ে অমিত শাহের উপস্থিতি রীতিমতো চাঙ্গা করেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। সিঙ্গুরের দুলেপাড়া মোড় থেকে সিঙ্গুর থানা পর্যন্ত রোড শোয়ে বিপুল জনসমাগম হয়। অতিরিক্ত ভিড় থাকায় এদিন শুরু থেকেই রোড শোয়ের দতি ছিল শ্লথ। গাড়ির উপর থেকে অমিত শাহ হাত নেড়ে কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে থাকেন। শাহকে দেখতে ভিড় জমে যায় রাস্তার পাশের বাড়ির ছাদগুলিতে। কখনও হাত নেড়ে কখনও আবার কর্মী-সমর্থকদের উপরে গাড়িতে থাকা ফুল ছুড়ে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শাহ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.