কোচবিহার : নির্বাচনী জনসভা থেকে ফের একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে টার্গেট করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মমতা বলেন রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই তারা বিজেপির কথা অনুযায়ী কাজ করছে। নির্বাচনে নিরপেক্ষতা থাকছে না।
বুধবার কোচবিহারের জনসভা থেকে মমতা অভিযোগ করেন, আগে থেকেই সব সেটিং করে রেখেছে বিজেপি। এমনিতে দেশের জওয়ানদের বাঁচাতে পারে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সুকমায় পারেনি, পুলওয়ামায় পারেনি। এরা আবার বড় বড় কথা বলে।
মমতার দাবি যে কেন্দ্র সরকার জওয়ানদের বাঁচাতে পারে না, তাঁরা দেশকে কীভাবে বাঁচাবে। এই ভাষাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অপব্যবহার করা হচ্ছে নির্বাচনে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
এদিন মমতা বলেন ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সবসময় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। মানুষ যাতে তাদের ভোট নির্ভয়ে দিতে পারে, তার দিকে নজর রাখা উচিত। কিন্তু ভোটারদের সমানে প্রভাবিত করছে সিআরপিএফ। তিনি সিআরপিএফকে (CRPF) সম্মান করেন, কিন্তু এখানে বিজেপির সিআরপিএফদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
মমতার দাবি ছত্তিশগড়ে (Chattishgarh) এতজন সিআরপিএফ জওয়ান মারা গেছে, তাদের জন্য বিজেপি সরকার কিছুই করেনি। অথচ এরাই দেশের জন্য বড় বড় কথা বলে। উল্লেখ্য রাজ্যের তৃতীয় দফা নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। রাজ্যের তৃতীয় দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভোটের দিন ট্যুইট করেন মমতা।
তিনি তাঁর ট্যুইটে লেখেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ জানিয়ে গেছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব দর্শক হিসেবে তৃণমূলের লোকজনদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার দৃশ্য দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। তৃণমূল ভোটারদের বাধা দিয়ে অন্য একটি দলকে ভোটদানে সহায়তা করছে বাহিনী।”
নন্দীগ্রামে নির্বাচনে মমতার অভিযোগ ছিল বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ করেন মমতা। সেদিন বয়ালের বুথে বসেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করে পরিস্থিতি জানিয়েছিলেন মমতা। তবে ফল মেলেনি বলে জানিয়ে ছিল তৃণমূল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.