কলম্বো: এমন ঘটনা কে কবে দেখেছে? কোনও সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতার পর তাঁরই মাথা থেকে খুলে নেওয়া হল মুকুট! শুনতে অবাক লাগলও এমন ঘটনা ঘটেছে। আর ঘটেছে মিসেস শ্রীলঙ্কার সঙ্গে।

গত রবিবার ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা ২০২১’এ বিজয়ী ঘোষিত হয় পুষ্পিকা ডে সিলভা। তার মাথায় বিজয়ের মুকুট তুলে দেওয়ার পরমুহূর্তেই তার মাথা থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বিজয়ের মুকুট। নিমেষে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিও। মিসেস ওয়ার্ল্ড ২০২০ এবং মিসেস শ্রীলঙ্কা ২০১৯ এর বিজয়ী কারলিন জুরি পুষ্পিকার মাথা থেকে মুকুটি ছিনিয়ে নিয়ে ফাস্ট রানার আপকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। এমন ঘটনা ইতিহাসে আগে কখনও ঘটতে দেখা যায়নি।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, পুষ্পিকাকে মিসেস শ্রীলঙ্কা ২০২১ ঘোষণা করার পরের মুহূর্তেই কারলিন জুরি স্টেজে উঠে বলছে, ‘এই অনুষ্ঠানের একটি নিয়ম রয়েছে যে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে। কিন্তু কারলিন জুরি একজন ডিভোর্সি মহিলা। তাই তিনি কখনই বিজয়ী হতে পারেন না। তাকে এই শো থেকে বাতিল করা হলো।’ এই বলে তিনি কারলিনের মাথা থেকে মুকুটটি খুলে রানার আপের মাথায় পরিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে কারলিন স্টেজ ত্যাগ করেন।

এই ঘটনার পরেই কারলিন ফেইসবুকে একটি পোস্ট করেন। তিনি লিখেছেন, ‘শুধু শ্রীলঙ্কা নয় গোটা বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম কোন বিউটি পেজেন্ট প্রতিযোগিতায় একজন বিজয়ীর মাথা থেকে মুকুট কেড়ে নেওয়া হল। এই ঘটনায় আমি ভীষণ অপমানিত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি ডিভোর্সি নই। আমার স্বামীর থেকে আমি আলাদা থাকি ঠিকই কিন্তু আমাদের ডিভোর্স হয়নি।’

গতকাল একটি প্রেস কনফরেন্সে পুষ্পিকা জানিয়েছেন, তার প্রতি হাওয়া এমন অপমানজনক ব্যবহারের জন্য তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন। এবং মিসেস শ্রীলঙ্কার নেশনাল ডিরেক্টর চণ্ডীমাল জয়সিংহ জানিয়েছেন, পুষ্পিকাকে তার বিজয়ী সম্মান ও মুকুট ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কারলিন জুরির এমন আচরণে তারা ভীষণই হতাশাগ্রস্থ। মিসেস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন এই বিষয়ে খুঁটিয়ে তদন্ত করছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।