কালচিনি : কালচিনির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে “মিথ্যাবাদী”, “ব্যাঙাচি” বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নির্বাচনের নামে রাজ্যে সেনা বাহিনীদের দিয়ে রাজ্যের মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। আমাদের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল, শওকত মোল্লাহাকে মেরেছে। আমাদের ৭জন কর্মী খুন হয়েছেন। আরও মানুষ খুন হয়েছেন। রাজ্যের হাত থেকে সব কেড়ে নিয়ে এভাবে রাজ্যের মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে নির্বাচমং কমিশন। আমি কমিশনের কাছে বলছি, আপনারা সেনা বাহিনীর কর্মীদের নিয়ন্ত্রিন করুন। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এরকম হয়নি, এখন যা হচ্ছে । ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর থেকেও খারাপ এই মোদী।”

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানের উন্নয়নরের জন্য রাজ্য সরকার কী করেছে আর কেন্দ্র চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে কী করে নি তার ব্যাখ্যা দেন। বলেন, “৬৭ টাকা চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ছিল। আমি সেটা ২০২ টাকা করেছি। চা বাগানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাবার সব দিয়েছি। কেন্দ্রের মতো ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিই নি, কাজ করেছি। আবার যা বলে গেলাম ভোট জিতে আপনাদের কাছে এসে সেই কাজ করে দেব।”

কালচিনির জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বললেন, “সবাইকে বলছি, জোড়া ফুলে ভোট দিন। আজ তিন জেলায় ৩১টি বিধানসভায় ভোট হচ্ছে। তৃণমূল জিতছে। বিজেপি হারছে। তাই বিজেপি গোলমাল পাকাচ্ছে। আমার নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ, সেনা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করুন। জওয়ানরা খানাকুল, আরামবাগের প্রার্থীকে মেরেছে। মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, বলছে বিজেপিকে ভোট দাও। না হলে দেখে নেবো। কী দেখে নেবে? আমি মা, বোনেদের বলছি, এসব যেখানে হচ্ছে সেখানে সেনা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত যিনি আছে তাঁকে জানাও। সবাইকে মারছে , ভয় দেখাচ্ছে। এটা আমি বলছি না। সংবাদ মাধ্যম দেখাচ্ছে। সুজাতা মণ্ডলকে মাথায় মেরেছে, শওকত মোল্লাকে মেরেছে। আমি বলছি সবাই জোট বাঁধুন। আসাম, ভুটান থেকে গুণ্ডা যাতে ঢোকাতে না পারে সেটা করতে হবে। এর পরেও আমি বলছি গুণ্ডামি করে ভোটে যেটা যায় না। বুদ্ধি দিয়ে, মানবতা দিয়ে ভোট জিততে হয়। এখানে নাড্ডা সভা করেছিলেন। দেখেছেন লোক নেই। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলেছে রাজ্যের মানুষের ওপর অত্যাচার করতে। একটা কেন্দ্রীয় সরকার এভাবে দেশের গণতন্ত্রকে নষ্ট করছে। ট্রাম্প এমন করেননি। মোদী যা করছেন। বলছেন দিদি, দিদি, আমি বলি আসলে উনি একটা ব্যাঙাচি।”

এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, “ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল সব বিক্রি করে দিচ্ছে। এই টাকা কোথায় যাচ্ছে?” এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বলেছিলো, ১৫ লক্ষ টাকা দেবে, চা বাগান খুলবে, চা বাগানের শ্রমিকদের পেনশন দেবে দিয়েছে? বিজেপি ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। ১০ তারিখ সবাই জোড়া ফুলে ভোট দিন। বিজেপিকে এই মাটিতে রাজনৈতিক ভাবে কবর দিন।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।