কলকাতা: রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীন ফের নজিরবিহীন পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। একসঙ্গে কলকাতার ৮ রিটার্নিং অফিসারকে সরাল কমিশন। সরানো হল জোড়াসাঁকো, কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, এন্টালি, চৌরঙ্গী, শ্যামপুকুর, কাশীপুর-বেলগাছিয়া, বেলেঘাটার রিটার্নিং অফিসারকে।

এদিন একসঙ্গে কলকাতার ৮ রিটার্নিং অফিসারকে সরানোর পিছনে নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট যুক্তি রয়েছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। পরপর তিন বছর কেউ এক পদে থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে সেই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়াই নিয়ম। তবে এই নিয়ম এতদিন পর্যন্ত কলকাতার ক্ষেত্রে কার্যকর করা হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ বলছে, নিয়ম মেনেই কলকাতার আট রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই আট রিটার্নিং অফিসার হলেন ভবানীপুর, এন্টালি, জোঁড়াসাঁকো, কলকাতা বন্দর, চৌরঙ্গী, শ্যামপুকুর, কাশিপুর, বেলগাছিয়ার রিটার্নিং অফিসার।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই সরানো হয়েছে বালিগঞ্জের রিটার্নিং অফিসারকে। সবমিলিয়ে রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীন মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই মোট ৯ জন রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দিল কমিশন। এককথায় ভোটের বাংলায় ফের এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ কমিশনের। তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি, কলকাতার এই আট রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। ওই আট জনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছিল।
এবার নির্বাচন কমিশনের কাছেও কলকাতার ওই আট রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ খতিয়ে দেখেই দ্রুত পদক্ষেপ করল কমিশন। রাজ্যে বিধানসভা ভোট চলাকালীনই সরিয়ে দেওয় হল ওই আট নির্বাচনী আধিকারিককে।

রাজ্যে বিধানসভা ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাটা চ্যালেঞ্জ ছিল কমিশনের কাছে। সেই লক্ষ্যে অবশ্য তৃতীয় দফার ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত ফুলমার্কসের ধারে-কাছেও পৌঁছোতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। বঙ্গ ভোট এবার আট দফায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও আজ তৃতীয় দফার নির্বাচনেও রাজ্যে তুমুল অশান্তি হয়েছে। মার খেয়েছেন প্রার্থীরা। হামলা হয়েছে বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপর। এমনকী নির্বাচন চলাকালীন রহস্যমৃত্যুর একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই খুনের অভিযোগে সরব শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।