নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা সিবিআইয়ের। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর আগে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালাকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ এবার আরও বাড়াল আদালত।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আঘে থেকে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তে গতি বাড়িয়েছে সিবিআই। রাজ্যে কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাসিন্দা অনুপ মাজি ওরফে লালা। লালার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে সিবিআই। তার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এফআইআর দায়ের ও তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে লালা। যদিও উচ্চ আদালত লালার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় লালা। সুপ্রিম কোর্ট লালাকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেয়। মঙ্গলবার সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও বাড়াল শীর্ষ আদালত। এবার আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত লালাকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, অনুপ মাজি ওরফে লালা তদন্তে সহযোগিতা করছে না। সেই কারণেই তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা জরুরি বলে মনে করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লালাকে জেরায় রাজ্যের কয়লা পাচার কাণ্ডে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। সেই কারণেই তাকে গ্রেফতার করার চিন্তাভাবনা করছিল সিবিআই। তবে এদিনের শীর্ষ আদালতের রায়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই পরিকল্পনায় ধাক্কা লাগল।
কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগে বাঁকুড়ার আইসিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজ্য পুলিশের ওই আধিকারিকের মাধ্যমেই গত কয়েক বছরে কোটি-কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। বর্তমানে তাকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। লালাকেও ওই পুলিশ আধিকারিকের মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা ছিল সিবিাইয়ের। যদিও শীর্ষ আদালত লালার গ্রেফতারির ক্ষেত্রে তাকে রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ায় আপাতত সেই সুযোগ নেই গোয়েন্দাদের কাছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.